আদালত ভারতীয় সেক্যুলার ফ্রন্টের (ISF) ১৮ জন সমর্থকের জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, যার মধ্যে বিধায়ক নওশাদ সাদ্দিকী রয়েছে, যারা দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরে এবং তারপরে কলকাতায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পরে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আদালত তাদের সবাইকে ১০ দিনের জন্য অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া এক নাবালককে জুভেনাইল বোর্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরের বাইরে স্লোগান দেন আইএসএফ সমর্থকরা। নওশাদী সিদ্দিকী বলেন, তার লড়াই চলবে।
আইএসএফ সমর্থকদের গ্রেফতার করার পর তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ধর্মতলা থেকে ভাঙর যাওয়ার পথে গ্রেফতার হওয়া ৪৩ জনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
এদিকে, ব্যাঙ্কশাল কোর্ট কমপ্লেক্স কড়া নিরাপত্তায় ঘেরাও করা হয়েছে। আদালত চত্বর রেলিং দিয়ে ঘেরা ছিল। আদালতের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। এ সময় আইএসএফ কর্মীরা বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দেয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে আদালতে প্রবেশ করে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “আমি জনগণের জন্য লড়ব এবং আমার লড়াই চলবে।" এ উপলক্ষে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদালতের বাইরেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তা সত্ত্বেও আইএসএফ-এর সমর্থকেরা আদালতে হাজির হওয়ার সময় এবং জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর স্লোগান দেয়।
উল্লেখ্য, শনিবার ধৃত আইএসএফ সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশ বেশ কয়েকটি কঠোর মামলা নথিভুক্ত করেছে। বেআইনি সমাবেশ, অস্ত্র কারচুপির চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, খুনের চেষ্টাসহ অনেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভাঙরে নওশাদের ওপর হামলার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল আইএসএফ। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের ডাক দেয় দলটি। শনিবারও ধর্মতলায় বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment