হিন্দু ধর্মে বিবাহের আচারগুলিকে একটি অত্যন্ত পবিত্র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিয়ের সময়, আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বর এবং কনের মধ্যে একটি গিঁট বাঁধা হয়, যাতে মুদ্রা, ফুল, চাল এবং দূর্বার মতো জিনিস বাঁধা হয়। আসুন জেনে নিই এই গিঁটের গুরুত্ব কি?
সারা পৃথিবীতে অনেক ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ আছে। প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। ভিন্ন সংস্কৃতি গ্রহণের পরও প্রতিটি সমাজেই বিয়ে দেখা যায়। হিন্দু ধর্মে বিয়েতে অনেক আচার-অনুষ্ঠান দেখা যায়। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বিয়ের সময় কনের সঙ্গে বরকে বাঁধা হয়। এতে বরের কাঁধে রাখা চেলি কনের ওরনার সঙ্গে বাঁধা হয়। কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন এই গিঁট বাঁধা হয়?
তাই গিঁট বাঁধা হয়
হিন্দু ধর্মে সম্পাদিত আচার-অনুষ্ঠানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের এসব আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পালন না করলে পাত্র-পাত্রীর পারিবারিক জীবনে নানা বাধা-বিপত্তি আসে। বর এবং কনের মধ্যে গিঁট বাঁধা একটি পবিত্র বন্ধন হিসাবে দেখা হয়। বরের চেলি আর কনের ওরনা মাঝখানে রাখা। এই গিঁটটিকে বৈবাহিক প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গিঁটকে বর-কনের শরীর ও মন বাঁধার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। বলা হয়, এই গিঁট যত মজবুত হয়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ততই মজবুত ও প্রেমময় হয়। এই গাঁট বাঁধার কাজটি করে বরের বোন। এই গিঁটটি কেবল বর এবং কনের মধ্যে সম্পর্কই বলে না, এটি দুটি পরিবারের যোগদানেরও ইঙ্গিত দেয়।
এই গিঁট একটি প্রতিশ্রুতি
এই গিঁট ঈশ্বরের সামনে এক ধরনের প্রতিশ্রুতি যে উভয়ই একে অপরের প্রতি অনুগত থাকবে। এই গিঁট তাদের মানসিক, শারীরিক এবং মানসিক ঐক্যের প্রতীক। মুদ্রা, ধান, দূর্বা, ফুলের মতো জিনিস এই গিঁটে বাঁধা থাকে। এর অর্থ হলো সম্পদ ও শস্যের ওপর স্বামী-স্ত্রীর সমান অধিকার থাকবে। দুজনেই একসাথে জীবনের সুখ উপভোগ করবেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment