তিক্ত স্বাদের চাকসু বীজ কালো রঙের এবং দেখতে ছোট পাথরের মতো। হিমালয়ের পাদদেশে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এগুলি বেশি পাওয়া যায়। এটা সত্য যে চাকসু বীজ খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার হয় ।
চাকসু বীজ কিভাবে খাবেন:
প্রথম ধাপে ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম বীজ নিয়ে সেগুলোকে গুঁড়ো করা হয়। তারপর পাউডার জলে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। তরল চাপা হয় এবং অবশ্যই কণার অবশিষ্ট অংশ পিছনে বাকি থাকে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১)রক্তচাপ কমায়:
চাকসু বীজের উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধী প্রভাব এখানে রক্তচাপ কমাতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই বীজগুলিতে লিনোলিক অ্যাসিডের পাশাপাশি লিনোলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি হাইপারটেনসিভ প্রভাবের জন্য দায়ী।
২)প্রদাহ বিরোধী সম্পত্তি:
এটা অবশ্যই উল্লেখ্য যে চাকসু বীজ তাদের প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। চাকসু বীজে ফ্ল্যাভোনয়েড যেমন কেমফেরল, প্রদাহজনক সাইটোকাইন ইত্যাদি থাকে।
৩)কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে:
এই বীজের রেচক বৈশিষ্ট্যগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বীজ গ্রহণ আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এড়াতে সাহায্য করবে। বীজে উপস্থিত ইমোডিন এই বীজের রেচক বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী।
৪)ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনাঃ
চাকসু বীজের অ্যান্টিগ্লাইকেশন কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
৫)কিডনি এবং লিভারের স্বাস্থ্যের প্রচার করে: আমাদের জীবন স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আমাদের কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকসু বীজ গ্রহণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একইভাবে এই বীজ খাওয়ার মাধ্যমে লিভারের স্বাস্থ্যও বৃদ্ধি পাবে।
No comments:
Post a Comment