ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ যত্ন নিতে হয়। দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে তা ফুসফুস, কিডনি ও হার্টে প্রভাব ফেলতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ গমের আটার রুটি খায় এবং তৈরি করার আগে তুষ ছাঁকিয়ে নেয়।
তুষ বের করার পর আটার মধ্যে শুধু সাদা আটা থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিষের সমান। আসলে গমের আটার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি এবং এই কারণে গমের আটার রুটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সুগার রোগীদের কোন রুটি খাওয়া উচিৎ।
সোর্ঘাম রুটি:
আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে জোয়ারের আটার রুটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই জোয়ারের আটার রুটি অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে করে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জোয়ারে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার। এছাড়াও এতে প্রোটিন এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
রাগি রুটি:
উল্লেখযোগ্যভাবে রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, তাই এটি সুগার রোগীদের জন্য উপকারী। এই আটার বিশেষত্ব হল এটি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এছাড়াও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
গ্রাম রুটি:
বেসন দিয়ে তৈরি রুটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এই ময়দাটি গ্লুটেন মুক্ত। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে অনেক সাহায্য করে। যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে আজই আপনার খাদ্যতালিকায় বেসনের রুটি অন্তর্ভুক্ত করুন।
No comments:
Post a Comment