ব্যস্ত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে, যার মধ্যে ডায়াবেটিস সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগ। ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়তে পারে। এমতাবস্থায় ডায়াবেটিসের মতো বিপজ্জনক রোগকে শুরুতেই শনাক্ত করা গেলে অনেক রোগ থেকে শরীরকে বাঁচানো যায়। তবে খাদ্যতালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
কফি:
অনেকেরই দিন শুরু হয় কফি দিয়ে কিন্তু আপনি যদি ডায়াবেটিসের মতো রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে তা একেবারেই খাবেন না। কফি আপনার শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রত্যেকের শরীরে ক্যাফেইনের প্রভাব ভিন্ন হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যাফেইন গ্রহণ কমাতে হবে। কফির পরিবর্তে, আপনি কালো চা বা সবুজ চা পান করতে পারেন।
ভাজা খাবার:
ডায়াবেটিস রোগীদেরও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এটি আপনার শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে পাওয়া ফ্যাটের কারণে ভাজা খাবার হজম হতেও সময় লাগে, যার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে বেড়ে যেতে পারে। ভাজা খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকারক ট্রান্সফ্যাট অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।
লাল মাংস:
অনেক ধরনের গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়, তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলেও শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
মদ্যপ পানীয়:
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়গুলিতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই পানীয়গুলি খাওয়ার ফলে, রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই পানীয়গুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সহ ফল:
বিশেষজ্ঞদের মতে আপনাকে কলা, আঙ্গুর, চেরি এবং আম খাওয়াও কমাতে হবে। এই ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি পাওয়া যায় এবং এই ফলগুলি খাওয়া আপনার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ কারণেই এগুলিকে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবারও বলা হয়। এটি শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment