এনআরসি ও নাগরিক আইন প্রকান্তরে ভোটের আগে চমক ছাড়া আর কিছুই নয়। ভোট টানতে বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে এটা একটি হাতিয়ার। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন এই ইস্যুতে বিজেপি-তৃণমূলকে এক হাত নেওয়ার পাশাপাশি, এনআরসি নিয়ে স্পষ্ট ধারণাও দেন কংগ্রেস সাংসদ।
তিনি বলেন, 'অমিত সাহা আর মোদী প্লেনে করে নাগরিক আইন নিয়ে চলে এল বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে এল এনআরসিও। তাদের কথায়, নাগরিক আইন ও এনআরসি নিয়ে চলে এসেছি, হিন্দু তোমাদের আর চিন্তা নাই। কিন্তু নাগরিক আইন খায় না মাথায় দেয়, এনআরসি সেদ্ধ করে না ফ্রাই করে, কিছুই আমরা জানি না। অথচ আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম। আর সেই সুযোগেই আমাদের চালাক দিদি বলে দিল, মুসলমান চিন্তা করো না, আমি ইনশাআল্লাহ বলে চলে আসব, তোমাদের সবাইকে রক্ষা করব। ভোট হয়ে গেল, এরপর বাজারে আর নাগরিক আইন বা এনআরসি নিয়ে আলোচনা নেই।'
এনআরসি সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে, অধীর চৌধুরী বলেন, '১৯৫২ সালে এনআরসি চালু হয়েছিল আসামে। স্বাধীনতার পর আসামে যারা স্থানীয় মানুষ; হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একটা জনগণনা হোক, কারণ অন্যান্য রাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে এত মানুষ এসেছে, যে অসমিয়া ভাষা সংস্কৃতি ঠিক থাকবে কি না,এটাই চিন্তার বিষয়। এই জনগণনার উদ্দেশ্য ছিল আসামের স্থানীয় মানুষ কত এবং বাইরে থেকে কতজন সেখানে এসেছেন তার হিসেব রাখা। এই এনআরসি কখনই হিন্দু-মুসলমানের ছিল না। স্থানীয় এবং বাইরের; এর ওপরেই শুরু হয়েছিল এনআরসি।'
No comments:
Post a Comment