স্ত্রী খাবার রান্না না করায় ক্ষুব্ধ স্বামী নিজের গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল। এতে তিনি মারাত্মকভাবে ঝলসে গেলে আত্মীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে জেলা হাসপাতাল হাথরাসে নিয়ে আসেন, যেখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্রে রেফার করেন। রামপুর থানার হাথরাস জংশনের বাসিন্দা মুকেশ মজুরি করে সংসার চালান। তিনি যথারীতি কাজ শেষে বাড়িতে পৌঁছে তার স্ত্রীকে খাবার রান্না করতে বলেন।
স্ত্রী রান্না করতে রাজি হননি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। স্ত্রী খাবার রান্না না করায় ক্ষুব্ধ মুকেশ নিজের গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। শোরগোল শুনে প্রতিবেশীদের ভিড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। তড়িঘড়ি করে পরিবার এবং আশেপাশের লোকজন মুকেশকে ১০৮ অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্রে রেফার করেন।
এ ঘটনা মানুষের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। খাবার না রান্না করায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করতে দেখা যায় ও শোনা যায়। কিন্তু এখানে স্বামী নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এই ঘটনাটি আলোচনার বিষয়বস্তু থেকে যায়। বর্তমানে, এই ধরনের ঘটনা বেশিরভাগই সমাজের অশিক্ষিত লোকরা করে। যা নিয়ে সমাজে সচেতনতার অভাব রয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও সমতা নিয়ে মানুষের একসঙ্গে বসবাস করা উচিৎ। যাতে সমাজে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীর পুড়ে গেছে যাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় উচ্চ কেন্দ্রে রেফার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment