অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে বড় খবর এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। এর আগে বাজেটের বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে অতিরিক্ত তথ্য চেয়েছিল আইএমএফ। পাকিস্তানের জরুরি ভিত্তিতে ১০ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন রয়েছে।
আইএমএফের এই পদক্ষেপে সেখানকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ব্যয় হতে পারে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে যে শেহবাজ শরীফ সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনার নির্দেশনা দিয়েছে।
IMF এমন সময়ে পাকিস্তান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে যখন এর অর্থনৈতিক সংকট খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। আইএমএফও বিপর্যস্ত দেশটিকে সাহায্য করার জন্য উদ্ধারকারী দল পাঠাতে অস্বীকার করেছে। শেহবাজ শরীফ সরকার আইএমএফকে একটি দল পাঠাতে অনুরোধ করেছিল পর্যালোচনাটি সম্পূর্ণ করার জন্য। অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আইএমএফ পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থা পাকিস্তানের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পাকিস্তান অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকটে ভুগছে। রয়টার্সের মতে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.৩৪৩ বিলিয়ন ডলারের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। পাকিস্তান ২০১৯ সালে $৬ বিলিয়ন বেলআউট সুরক্ষিত করেছে, যা এই বছরের শুরুতে $১ বিলিয়ন দিয়ে শীর্ষে ছিল।
অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আইএমএফসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পাকিস্তান। গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি পাকিস্তান। সাম্প্রতিক অতীতে গ্যাসের দাম ৭০ শতাংশ এবং বিদ্যুতের বিল বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
পাকিস্তান সরকারী কর্মচারীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপের কথা ভাবছে। মন্ত্রণালয়গুলোকে ১৫ শতাংশ ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে। এর বাইরে ফেডারেল মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদেরও কম খরচ করতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment