উত্তর ২৪ পরগনা: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ বাকিদের গ্ৰেফতারের প্রতিবাদে দেগঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ। আইএসএফের সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হন বাম কর্মী-সমর্থকেরাও। এদিন এক প্রতিবাদ মিছিলেরও আয়োজন করা হয় তাদের যৌথ উদ্যোগে। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আহমদ আলী খান এবং আইএসএফ নেতা কুতুবউদ্দিন ফতেহি। নওশাদ সিদ্দিকী সহ বাকিদের নিঃশর্ত জামিনের দাবীতেই তাদের এই কর্মসূচি। দাবী পূরণ না হলে এই আন্দোলন, বিক্ষোভ লাগাতার চলবে বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত বেড়াচাপা থেকে এবং কাউকে পাড়া হয়ে বীনাপানি হাইস্কুল অর্থাৎ বেড়াচাঁপা দেগঙ্গা বিডিও অফিসের আগে শেষ হয়। এর আগে এদিন চৌরাসিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের জীবনপুর ও আমুলিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে আইএসএফ ও বামেদের দুটো যৌথ মিছিল প্রথমে বেড়াচাপা চৌমাথা মোড়ে এসে পৌঁছায়। দুই দলের প্রচুর সমর্থক এই মিছিলে পা মেলান।
আইএসএফের স্থানীয় নেতৃত্ব কুতুবউদ্দিন ফতেহি জানান, যেভাবে নওশাদ সিদ্দিকীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং আরও কর্মীদের গ্ৰেফতার করা হয়েছে, তারই প্রতিবাদে তাদের এই বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলে সামিল হয়েছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী সমর্থকেরাও।
অপরদিকে আহমদ আলী খান বলেন, 'পশ্চিমবাংলায় আজ গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের হাতে। আমরা আজ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম আইএসএফ ও সিপিএমের যৌথ উদ্যোগে। আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের বিধায়ক, তাকে যেমন নক্ক্যারজনক ভাবে টেনে হিঁচড়ে গ্ৰেফতার করা হয়েছে, গাড়িতে তোলা হয়েছে, তিনি সহ তৃণমূলের দুষ্কৃতী দ্বারা আক্রান্ত আইএসএফ কর্মী ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নওশাদ সিদ্দিকী সহ এদের সকলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতেই এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বার্তা দিচ্ছি, সরকার এইভাবে চললে আমরা নিশ্চিতভাবে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এবং বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী সমস্ত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।'
No comments:
Post a Comment