দুধের সাথে খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ কারণে খেজুরের পুষ্টিগুণ কার্যকরভাবে শরীরের উপকার করে। খালি পেটে খেজুর খেলে পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর হয়। খেজুরে প্রাকৃতিক সুইটনার পাওয়া যায়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব বেশি খেজুর খাওয়া উচিৎ নয়। এ ছাড়া খেজুর পুরুষালি দুর্বলতার বিরুদ্ধে প্রভাব দেখায়। এতে উপস্থিত আয়রন শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর শরীরের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এর ব্যবহার পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্য খেজুর ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত। খেজুরে পাওয়া আয়রন আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং রক্ত গঠনে সাহায্য করে। খেজুরে প্রাকৃতিক মিষ্টি পাওয়া যায়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া উচিৎ নয়। এভাবে যে কোনো সময় খেজুর খেতে পারেন, তবে রাতে বা সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সম্ভব হলে দুধের সাথে খেজুর ভিজিয়ে রাতে খেতে হবে এবং সেই দুধ পান করতে হবে। এই কারণে, আপনি আপনার স্বাস্থ্যের একটি অসাধারণ বৃদ্ধি দেখতে পাবেন।
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা
১. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পরিপাকতন্ত্র ছাড়াও খেজুর পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। এটি খেলে শারীরিক স্থিতিশীলতা নিরাময় হয় এবং দুর্বল বোধ হয় না।
২. খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া এটি স্মৃতিশক্তিকেও তীক্ষ্ণ করে। এতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বিপজ্জনক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
৩. খেজুর খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতের মৌসুমে তাদের অবশ্যই খেজুর খেতে হবে। এর ফলে ফিটনেস বজায় থাকে এবং কম অসুস্থ হয় ।
৪. খেজুর পুরুষদের অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দূর করে। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস, আলঝেইমার এবং ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment