অঞ্জলির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবারের আশঙ্কার অবসান ঘটিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শক ও রক্তক্ষরণে অঞ্জলির মৃত্যু হয়েছে।
অঞ্জলির মাথায়, স্পাইনাল কর্ড, বাম উরুর হাড়ে আঘাত রয়েছে। পুলিশ জানায়, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অঞ্জলির শরীরের সমস্ত আঘাত একটি ধারালো আঘাতের কারণে এবং গাড়ি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে। যৌন নিপীড়ন নির্দেশ করার জন্য কোনও ক্ষত নেই। ময়নাতদন্তের পর মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অঞ্জলির মৃত্যু হয়েছে।
সুলতানপুর থেকে কানঝাওয়ালার মধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে যাওয়ায় মৃত অঞ্জলির পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কা করছেন, তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তবে এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরিবারের শঙ্কা কেটে গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অঞ্জলির মামা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিবার বিশ্বাস করে।
৩১ ডিসেম্বর রাতে অঞ্জলির স্কুটির একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে, গাড়ির নিচে আটকা পড়ে অঞ্জলি। তাকে প্রায় ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কানঝাওয়ালার একটি রাস্তায় নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় তার মৃতদেহ। সোমবার গাড়িতে থাকা পাঁচ জনকে খুনের পরিমাণ নয় অপরাধমূলক খুনসহ ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই মামলায় 'আলোচিত তদন্ত'-এর জন্যও অভিযুক্ত হয়েছিল। সোমবার পাঁচ অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ঘটনার সময় অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে তাদের রক্তের নমুনা মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
No comments:
Post a Comment