মেয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেএবং রীতি অনুযায়ী বাগদান করেন সিআইএসএফ-এর এএসআই। এরপর তিনি ওই যুবতীকে হোটেলে দেখা করতে ডাকতে থাকেন। যেখানে তার অস্বীকৃতি সত্ত্বেও সে তাকে বিয়ের অজুহাতে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তী দিনে তাকে শোষণ করতে থাকে। মন ভরে গেলে বাগদানের পরও বিয়ে করতে রাজি হননি তিনি। মেয়েটি এই প্রতারণা পাওয়ার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায়। একই সঙ্গে এএসআই-এর বিরুদ্ধে সিআইএসএফ-এ মামলা রুজু করে ব্যবস্থা শুরু করেছে পুলিশ।
প্রকৃতপক্ষে, গোয়ালিয়র শহরের চন্দ্রবণী নাকায় বসবাসকারী এক যুবতী পাদাভ থানায় পৌঁছে পুলিশকে জানান যে কয়েক মাস আগে শেওপুরের বাসিন্দা হিতেন্দ্র মীনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তার বাগদান ঠিক হয়েছিল। হিতেন্দ্র মীনা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে এএসআই পদে নিযুক্ত। এরপর হিতেন্দ্র ও মেয়েটির মধ্যে ফোনালাপ শুরু হয়। কথোপকথনের পরে, হিতেন্দ্র মেয়েটির সাথে দেখা করতে গোয়ালিয়রে পৌঁছে এবং তাকে পাদাভ থানা এলাকার হোটেল বিরাসাতে তার সঙ্গে দেখা করতে ডেকেছিলেন।
যেখানে মেয়েটি তার ভাবী স্বামীর সাথে দেখা করতে হোটেলে পৌঁছায়। দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এরপর বিয়ের অজুহাতে তাকে ধর্ষণ করে এবং একইভাবে অন্য হোটেলে ডেকে নিয়ে শোষণ শুরু করে। মেয়েটিকে নিয়ে তার মন ভরে গেলে সে বাগদান ভেঙ্গে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। মেয়েটির ভাবী স্বামীর দেওয়া এই প্রতারণার পর সে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় পৌঁছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়।
এ বিষয়ে পাড়ব থানার টিআই বিবেক আস্থানা বলেন, এএসআই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এএসআই প্রথমে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রীতি অনুযায়ী বাগদান করেন। এর পর সে তাকে হোটেলে দেখা করতে ডাকতে থাকে। যেখানে তার অস্বীকৃতি সত্ত্বেও সে তাকে বিয়ের অজুহাতে ধর্ষণ করে এবং তারপর তাকে শোষণ করতে থাকে। মন ভরে গেলে বাগদানের পরও বিয়ে করতে রাজি হননি। এই প্রতারণার পর মেয়েটি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছে। একইসঙ্গে এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment