গত বছর গুজরাটের মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার পর গুজরাট পুলিশ এখন বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এখন ব্রিজটির সংস্কার, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। গুজরাট পুলিশ রবিবার অজন্তা ওরেভা গ্রুপের প্রবর্তক জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। জয়সুখ প্যাটেলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশও জারি করেছে পুলিশ। জয়সুখ প্যাটেলের কোম্পানি অজন্তা ওরেভা এই সেতু মেরামতের জন্য দায়ী বলে জানা গেছে। লুকআউট সার্কুলার প্রকাশের পর, আশা করা হচ্ছে যে ওরেভা গ্রুপের এমডি শিগগিরই পুলিশের খপ্পরে পড়বেন।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি জয়সুখ প্যাটেল গ্রেপ্তার এড়াতে মরবি সেশন কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। শনিবার আদালত আবেদনের ওপর শুনানি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন। গত বছরের ৩০ অক্টোবর মরবি শহরের মচ্ছু নদীর ওপর এই সেতুটি ভেঙে পড়ে। যাতে বহু মানুষ প্রাণ হারায়। বলা হয় যে ওরেভা গ্রুপ মরবি পৌরসভার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, যেটি অনুসারে সেতুটির পরিচালনা এবং মেরামত এই সংস্থার সাথে ছিল। এই চুক্তিটি ১৫ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তিটি মরবি পৌরসভা এবং অজন্তা ওরেভা কোম্পানির মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা ২০৩৭ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল।
মরবি সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ফরেনসিক দলের তদন্ত রিপোর্টে জানা গেছে যে সেতুটির মেরামতের সময় মরিচা পড়ে যাওয়া তার, ভাঙা অ্যাঙ্কর পিন এবং আলগা বোল্টের মতো ঘাটতিগুলি উপেক্ষা করা হয়েছিল। আরও জানা গেছে, সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার আগে, সেতুটি কতটা ভার বহন করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সংস্থাটি কোনও বিশেষজ্ঞের সহায়তাও নেয়নি।
মরবি দুর্ঘটনার জন্য গঠিত বিশেষ তদন্ত দলটি সেতুর মেরামতের বিষয়ে অজন্তা ওরেওয়া গ্রুপের করা বেশ কয়েকটি ত্রুটি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, মরবি ব্রিজে যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সেখানে ৩০০-৪০০ মানুষ ছিল। সেতু ভেঙ্গে অনেক মানুষ নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর হইচই পড়ে যায়। উদ্ধারকারী দল কয়েকদিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালায়। দুর্ঘটনার পরে কোনও বড় পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাজ্যের বিজেপি সরকার প্রতিনিয়ত বিরোধীদের নিশানায় ছিল। এই দুর্ঘটনার অনেক ভিডিওও প্রকাশ পেয়েছে।
No comments:
Post a Comment