শিশুদের সুস্থ রাখতে অনেক স্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ানো হয়। অনেক সময় শিশুরা ঠিকমতো খাবার খায় কিন্তু জলের পান করে না। এটা একটানা করলে শরীরে জলের অভাব হয়। শিশুদের শরীরে পানির অভাব মেটাতে এসব ফল শিশুদের খাওয়ানো যেতে পারে। এসব ফল খেলে শরীরে পানির অভাব পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত হবে, শিশুদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে এসব ফল। অনেক সময় ঠাণ্ডা লাগলে বাচ্চাদের পিপাসা লাগে না। এমতাবস্থায় তাদের শরীরে পানির অভাব সহজেই পূরণ করা যায় এই ফলটি দিয়ে। শিশুদের দীর্ঘ সময় পানিশূন্যতার সমস্যা থাকলে গুরুতর অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই শিশুদের জলের অভাব মেটাতে কোন ফল দেওয়া যেতে পারে।
কমলালেবুতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ,আয়রন, ফাইবার ও ভিটামিন সি ইত্যাদি পাওয়া যায়। এটা অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করে, এটি শিশুদের ক্ষুধা বাড়াতেও সাহায্য করে।
শিশুদের কমলালেবু খাওয়ালে জলের ঘাটতি দূর হয়।সহজে সম্পন্ন হয়।
ডালিম
পুষ্টিগুণে ভরপুর ডালিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডালিম আয়রন, ফাইবার, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। শিশুদের ডালিম খাওয়ালে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং শিশুদের শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। শীতকালে শিশুদের ডালিম খাওয়ালে শিশুদের শরীরে জলের অভাব পূরণ হয়।
কিউই
কিউই শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। কিউই প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট ও পটাশিয়াম ইত্যাদি পাওয়া যায়। কিউইতে জল যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়, যা শিশুদের শরীরে জলের অভাবের পূরন করে। কিউই খাওয়া শিশুদের দীর্ঘায়ু পূরণে সাহায্য করে।এটি খেলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।
আপেল
বেশিরভাগ বাচ্চাই আপেল পছন্দ করে। শিশুদের প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুদের নিয়মিত আপেল খাওয়ালে জলশূন্যতার সমস্যা চলে যায়। আপেল শিশুদের শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শিশুদের আপেল খাওয়ালে শিশুদের জলের অভাব পূরণ হয়।
আনারস
আনারসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, আয়রন, প্রোটিন এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং পরিপাকতন্ত্রও সুস্থ থাকে। আনারসে জলের উপাদান পাওয়া যায়। এটি শিশুদের খাওয়ালে তাদের মধ্যে জলের অভাব হয় না। শিশুদের জলশূন্যতার সমস্যা দূর করতে এই ফল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন বাচ্চাদের কোনো রোগ বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এসব ফল খাওয়া উচিত
No comments:
Post a Comment