হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উৎসব পালিত হয়। যাইহোক, প্রতি মাসেও শিবরাত্রি পালিত হয়, একে মাসিক শিবরাত্রি বলা হয়। যেখানে বছরে একবার ফাল্গুন মাসে মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয়, এই দিনে শিব ও মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মহাশিবরাত্রির দিন পৃথিবীর প্রতিটি শিবলিঙ্গে ভগবান মহাদেব উপস্থিত থাকেন। তাই মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে অভিষেক করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান শিবের আরাধনা করলে সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং অপার সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। অন্য কথায়, মহাশিবরাত্রি হল শিব-পার্বতীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য বছরের শ্রেষ্ঠ দিন।
মহাশিবরাত্রি ২০২৩ এ বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী তিথি ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮:০২টা থেকে শুরু হবে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪:১৮ টায় শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে, উদয় তিথি অনুসারে, এ বছর মহাশিবরাত্রি উৎসব পালিত হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ শনিবার। মহাশিবরাত্রির দিনে উপবাস ও রুদ্রাভিষেক করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহাশিবরাত্রির উপবাসে শুধুমাত্র ফল খাওয়া হয়। এই বছর, মহাশিবরাত্রি উপবাস পালনের সময় হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৬:৫৭ টা থেকে বিকাল ৩:৩৩ টা পর্যন্ত।
মহাশিবরাত্রি উপাসনা পদ্ধতি
মহাশিবরাত্রির দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান করে তারপর পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে ভগবান শঙ্করের সামনে হাত জোড় করে পূর্ণ ভক্তি সহকারে উপবাসের প্রতিজ্ঞা নিন। এই দিনে নির্জলা উপবাস করা বা শুধুমাত্র ফল গ্রহণ করা খুবই ভালো। এর পর ভগবান শিবকে পঞ্চামৃত ও গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করুন। ভগবানকে বেলপত্র, ধতুরা, শ্বেত চন্দন, সুগন্ধি, জেনু, ফল ও মিষ্টি নিবেদন করুন। এই দিনে ভগবান শিবকে জাফরানযুক্ত খির নিবেদন করে সকলকে প্রসাদ দিতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment