'বাবা হিসেবে মনে হচ্ছিল, এটা আমার ছেলেপুলের ক্ষতি', হুক্কা বার ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না, মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এ প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'দেখুন আমি কলকাতার মানুষের স্বার্থে করেছিলাম, কারণ বাবা হিসেবে এটা আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে ক্ষতি আমার ছেলেপুলের এবং সেই ক্ষতির কারণে এটা বাঞ্ছনীয় নয় যে হুক্কা আবার চলুক। কিন্তু আদালত আমাদের মাথার উপর, নিশ্চয়ই মানুষের ভালো ভেবে, শিক্ষার্থীদের ভালো ভেবেই হয়তো রায় দিয়েছে। আদালত নিয়ে তো আমি কিছু বলতে পারি না।'
ফিরহাদ বলেন, 'কিন্তু নৈতিকভাবে হুক্কা বারে অনেক সময় দেখা যায় যে, ব্রাউন সুগারের ব্যবহার হচ্ছে, যেটা ধরা পড়বে না। মহামান্য বিচারপতি এটাকে কি সমর্থন করবেন?' তিনি এও বলেন, 'আদালতের রায় আমার কাছে আসেনি, তাই এটা নিয়ে আর কিছু আমি বলব না।'
কেন্দ্রের থাকলেও, রাজ্যের হাতে কোনও আইন নেই এটা আটকানোর। আইন দরকার কী?- সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আদালতের হাতে এটা আছে, যে আমি কেসটা নেব কি নেব না, এটা থাকলেই আদালতের যথেষ্ট।' তাঁর সংযোজন, 'আদালত আমাদের মাথার উপর, আদালত অবমাননা করা উচিৎ না। তাই আদালতের রায় মাথা পেতে নিলাম।'
'আদালতের রায়টা আসুক, তারপর আমরা দেখব মহামান্য আদালত কী রায় দিয়েছে এবং তার ওপর আমাদের কী করার আছে নিশ্চিতভাবে করে নেব', বলেন ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরের শুরুতে, কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন যে, শহরের সমস্ত রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে হুক্কা বার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরে বিধাননগর পুরসভাও একই সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। সেই আবেদনের শুনানিকালে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকায় হুক্কা বার বন্ধ করার যাবে না।
বিচারপতি বলেন, এ বিষয়ে যেহেতু রাজ্যের কোনও আইন নেই, তাই মেট্রোপলিটন এবং শহরতলির এলাকায় হুক্কা বার চলতে পারে। কারণ কেন্দ্রীয় আইন সেই সুবিধা প্রদান করেছে৷ এরপরও যদি হুক্কা বার বন্ধ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা বন্ধ করতে রাজ্য বা পুরসভাকে নতুন আইন করতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ হুক্কা বারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
No comments:
Post a Comment