যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ঋণ নিয়ে লড়াই করে থাকেন তবে বাড়ির পূজার স্থানে বাস্তু অনুসারে কিছু শুভ চিহ্ন তৈরি করলে উপকার পাওয়া যায়। এই শুভ লক্ষণগুলি একজন ব্যক্তিকে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
বাড়ির মন্দির হল সবচেয়ে পবিত্র এবং শুভ স্থান। বাড়ির মন্দিরে সকল দেবদেবীর অধিষ্ঠান। কথিত আছে যে নিয়মিত তার পূজা করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির যোগাযোগ হয়। বাস্তুতে উত্তর-পূর্ব কোণকে বাড়ির উপাসনাস্থলের জন্য সঠিক বলা হয়েছে। কথিত আছে যে এই দিকটি দেবতাদের অন্তর্গত এবং তাই এটি শুভ বলে মনে করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্রে বাড়ির মন্দিরে কিছু শুভ চিহ্ন তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এতে আপনি শ্রী, ওম, স্বস্তিক ইত্যাদি চিহ্ন তৈরি করতে পারেন। এই প্রতীকগুলি তৈরি করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় এবং জীবনের সমস্ত কাজ শুভ হয়। আসুন জেনে নিই বাড়ির মন্দিরে শুভ চিহ্ন তৈরি করার উপকারিতা।
বাড়ির মন্দিরে ওম তৈরি করলে উপকার পাওয়া যায়
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মন্দিরে চন্দন বা জাফরান দিয়ে ওমের প্রতীক তৈরি করুন। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরে ওমের প্রতীক তৈরি করে এটি জপ করলে শক্তি এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। এতে ঘরের উত্তেজনা দূর হয়। জাফরান এবং চন্দন কাঠের তৈরি ওম একজন ব্যক্তিকে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে চলমান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। আর প্রগতির পথ খুলে যায়।
স্বস্তিকা তৈরির উপকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মন্দিরের দুই পাশে হলুদ দিয়ে স্বস্তিকের প্রতীক তৈরি করলে উপকার পাওয়া যায়। স্বস্তিকের প্রতীক বানানোর পাশাপাশি নিচে শুভফল লিখুন। এতে বাড়ির বাস্তু দোষ দূর হয় এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন হয়। স্বস্তিকের প্রতীকটি ৯ আঙ্গুল লম্বা এবং চওড়া হওয়া উচিৎ । এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রতীকটি বাড়িতে অশুভ প্রভাব প্রতিরোধ করে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রদান করে।
শ্রীর প্রতীক বানানোর উপকারিতা
জ্যোতিষশাস্ত্রে শ্রীর প্রতীককে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। বাড়ির পূজার স্থানে সিঁদুর বা জাফরান দিয়ে তৈরি করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি একজন ব্যক্তির জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। বাস্তু মতে শ্রীর প্রতীক বানিয়ে ঘরে অর্থ-শস্যের অভাব হয় না। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা বজায় থাকে। কথিত আছে, পূজার স্থানে শ্রীর প্রতীক রাখলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment