জোশীমঠে ভূমিধসের ঝুঁকি কমাতে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে ডিপিআর তৈরি করেছে সেচ দফতর। মঙ্গলবারের মধ্যে এই রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। রাজ্য সরকার বলছে যে এই পুরো এলাকায় শক্তিশালী বন্যা সুরক্ষা এবং ক্ষয়-রোধী ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভূমিধস এবং ভাঙনের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে।
সেচ দফতরের আধিকারিক জয়পাল সিং বলেন যে সরকার জোশীমঠ ভূমিধসের বিষয়ে সেচ দফতরকে তিনটি দায়িত্ব অর্পণ করেছে। এর আওতায় অলকানন্দা-ধৌলিগঙ্গার জোশীমঠের দিকে ভূমিক্ষয় রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি জোশীমঠ থেকে জল নিষ্কাশনের জন্য একটি প্রাথমিক ও দীর্ঘমেয়াদী কাজের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বর্তমানে অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গার জল প্রবাহের কারণে জোশীমঠের নিচের মাটির ক্ষয় রোধের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ভূমিধসের কবলে পড়া প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় নদ-নদীর সৃষ্ট ভাঙন রোধে পরিকল্পনা নিয়েছে সেচ দফতর। এটি জোশীমঠের এলাকা, যেখানে ভূমিক্ষয়ও ব্যাপকভাবে হচ্ছে।
ওয়াদিয়ার বিজ্ঞানীরা জোশীমঠ থেকে তাদের সমীক্ষার নমুনা এবং ডেটা নিয়ে দেরাদুনে ফিরেছেন। নমুনাগুলি দুনে ইনস্টিটিউটের সদর দফতরে বিশ্লেষণ করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন সচিব ড. রণজিত কুমার সিনহা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে নমুনার ভিত্তিতে, কারণগুলি শীঘ্রই জানা যাবে এবং তারপরে এটি একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করবে।
PWD-এর অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ডিসি নওটিয়াল বলেন যে জোশীমঠে ফাটল তৈরি করা রাস্তাগুলির লোড ক্ষমতা পরীক্ষা করা উচিৎ। এ ধরনের রাস্তায় ধারণক্ষমতার বেশি যানবাহন চলাচল করলে কমবেশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইমার গ্রুপ রাজ্য সরকারকে জোশীমঠে ১০০টি প্রিফেব্রিকেটেড বাড়ি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। বিনা খরচে এই ভবন তৈরি করবে ইমার গ্রুপ। HDFC ব্যাঙ্কও আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। গ্রাফিক এরা গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশন জোশীমঠের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য পেশাগত কোর্সে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কামাল ঘনশালা রোববার এ ঘোষণা দেন চেয়ারম্যান।
No comments:
Post a Comment