এখনও অবধি, ২৭৫টি পরিবারের ৯২৫ জন সদস্য জমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত জোশীমঠে অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ৫৫২ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্বর্তীকালীন সহায়তা হিসাবে ৩৭১.২৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এবার জোশীমঠ থেকে বেরিয়ে আসছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ফাটলের কারণে জোশীমঠে বয়ে যাওয়া ড্রেনগুলো শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে।
মাড়োয়ারি হোটেল থেকে সিংহধর হয়ে চুনার যাওয়ার ড্রেনটিও অনেক জায়গায় শুকিয়ে গেছে। সিংহধরের বাসিন্দা হরিশ সতী ও জগদীশ প্রসাদ বলেন, এখান থেকে প্রবাহিত ড্রেনটিও অনেক জায়গায় শুকিয়ে গেছে, আগে এই ড্রেনে প্রচুর জল ছিল। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় মালাও ভাঙতে শুরু করেছে।
জোশীমঠের সংকটময় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সভাপতিত্বে সচিবালয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের শীর্ষ আধিকারিকরা। তথ্য অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী ধামি জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিকদের প্রতিক্রিয়া নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করেছেন। এর পাশাপাশি, সিএম ধামি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসন এবং তাদের দ্বারা করা ব্যবস্থা সম্পর্কে আধিকারিকদের সাথেও আলোচনা করেছেন।
চামোলি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চামোলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, জোশীমঠ শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ৮৬৩টি ভবনে ফাটল দেখা গেছে, যার মধ্যে ১৮১টি বাড়িকে অনিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ২৭৫টি পরিবারের ৯২৫ সদস্যকে সাময়িকভাবে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
জোশীমঠে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পর শৈত্যপ্রবাহের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ১০টি জায়গায় নিয়মিত বড় বনফায়ার জ্বালানো হচ্ছে। এছাড়া ত্রাণ শিবিরে বসবাসকারী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হিটার, ব্লোয়ার, জলের বোতল ও কম্বলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment