দাঁত সুস্থ রাখা সহজ নয়। যদি তাদের সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে তাদের মধ্যে ময়লা এবং হলুদভাব দেখা দিতে শুরু করে। এ কারণে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। দাঁত পরিষ্কার করতে আমরা কিছু টিপস অবলম্বন করতে পারি।
দাঁত পরিষ্কারের টিপসঃ দাঁত ময়লা হলে মন খুলে হাসতে লজ্জা লাগে। তাদের পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই দাঁত পরিষ্কার করে, কিন্তু তারপরও কিছু দাঁতে হলুদ এবং ময়লা দেখা যায়। দাঁত ঠিকমতো পরিষ্কার না হলে এমনটা হতে পারে। ঝকঝকে হাসির জন্য ব্রাশ করা যথেষ্ট নয়। আপনি যদি আপনার দাঁতকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে চান, তাহলে কিছু টিপস অনুসরণ করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই কিভাবে দাঁত পরিষ্কার রাখতে পারি।
ব্রাশ করা গুরুত্বপূর্ণ
অনেকেই প্রতিদিন ব্রাশ করেন না। এর প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান নাও হতে পারে, তবে ধীরে ধীরে আপনার দাঁত নোংরা হতে শুরু করে। এমন অভ্যাসের কারণে দাঁতে প্লাক জমতে শুরু করে। তাই প্রতিদিন ব্রাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টুথ পেস্ট মুখের ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে, যা রোগের ঝুঁকি দূর করে।
ফ্লস
ব্রাশ করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে দাঁত ফ্লস করারও প্রয়োজন হয়। ফ্লসিংয়ের মাধ্যমে, দাঁতের মধ্যে এবং উপরের এবং নীচের অংশ পরিষ্কার করা হয় এবং সেগুলি সম্পূর্ণ পরিষ্কার দেখায়। এক টুকরো ফ্লস নিন এবং এটি দিয়ে উপরের, নীচের এবং দুটি দাঁতের মাঝখানে পরিষ্কার করুন। এতে ময়লা দূর হবে।
জিহ্বা পরিষ্কার করা
দাঁতের পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার করাও খুব জরুরি। জিহ্বায় অনেক ব্যাকটেরিয়া জমে। এগুলো রোগ ছড়াতে পারে। তাই প্রতিদিন ব্রাশ করার সময় জিহ্বাও পরিষ্কার করা উচিৎ ।
গহ্বর উপেক্ষা করবেন না
অনেকের দাঁতে পচন ধরেছে। সামান্য ব্যথা হলে আমরা তা উপেক্ষা করি। অথবা দাঁতে সামান্য গহ্বর হলে তারা সেদিকে মনোযোগ দেন না। এটি করা অপ্রতিরোধ্য প্রমাণিত হতে পারে। এমন অসাবধানতার কারণে দাঁত পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment