বিদ্যার দেবীর আরাধনা হবে স্বয়ং এক শিক্ষার্থীর হাতে তৈরী মূর্তি দিয়ে। বৃহস্পতিবার বাগদেবীর আরাধনা। মাঘী পঞ্চমীতে সমস্ত জায়গায় শিক্ষার্থীরা সরস্বতী দেবীর বন্দনায় মেতে ওঠেন, এতে শামিল হবেন সমস্ত পড়ুয়ারা। তবে এরই মাঝে খোঁজ পাওয়া গেল এমন এক পড়ুয়ার যে নিজের হাতে সরস্বতী মূর্তি তৈরি করে তাতে পুজো করবে।
কোচবিহার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রকি বর্মন। কোচবিহার শহর সংলগ্ন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জামাই বাজার এলাকার বাসিন্দা রকি বর্মনের শখ মাটির বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করা। কারও কাছে মূর্তি গড়া শেখেনি রকি বর্মন। অথচ একের পর এক মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সে। কোনদিন আর্টও শেখেনি রকি। মূর্তি গড়া থেকে আর্ট সবটাই নিজের পরিকল্পনা থেকে করে চলেছে রকি বর্মন। গত দুর্গা পুজোয় দুর্গা মূর্তি বানিয়ে প্রথমে সবাইকে চমকে দিয়েছিল রকি বর্মন। তারপর সে কালী মূর্তি এবং লক্ষ্মী মূর্তিও গড়েছে। এবার সে তৈরি করেছে দুটো সরস্বতী দেবীর মূর্তি। যেই মূর্তি গুলিকে সরস্বতী পুজোর দিন পুজো করা হবে।
রকি বর্মনের বাবা বিশ্বনাথ বর্মন একজন ছোটখাটো ঠিকাদার। রকির আগ্রহে উৎসাহ যুগিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাজার থেকে কিনে এনে ছেলের হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি। বিশ্বনাথ বর্মন বলেন, "আমার ছেলে কারও কাছে কিছু না শিখে একা একাই এই সমস্ত কিছু তৈরী করছে। এর আগেও ও দুর্গা মূর্তি, মা তারার মূর্তি, কালী মূর্তি, লক্ষ্মী মূর্তি তৈরি করেছিল। এবার সরস্বতী মূর্তি তৈরি করেছে। ওর যখন যা প্রয়োজন সেই মতো সামগ্রীগুলো ওকে কিনে এনে দিই। চাইছি ভবিষ্যতে ও বড় শিল্পী হোক"।
রকি বর্মন জানায়, "আমার মূর্তি গড়তে ভালো লাগে। তাই পড়াশুনোর পাশাপাশি আমি মূর্তি তৈরী করি। আমি কারও কাছে কিছু শিখিনি। নিজে থেকেই মূর্তিগুলো তৈরী করি। এই ক্ষেত্রে আমার দিদি আমাকে সাহায্য করে। এর আগেও আমি মূর্তি বানিয়েছি। এবার সরস্বতী মূর্তি তৈরী করেছি। ভবিষ্যতে আরও অনেক মূর্তি গড়তে চাই।"
No comments:
Post a Comment