ক্রমশই যেন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানে। একদিকে সেখানকার মুদ্রাস্ফীতি চরমে, সাধারণ মানুষের জন্য আটা-ডালের মতো মৌলিক জিনিসও কেনা কঠিন হয়ে পড়ছে পাশাপাশি বেড়েছে বিদ্যুতের সমস্যাও। পাকিস্তানেও বিদ্যুতের সংকট ঘনীভূত হয়েছে। হাই টেনশন সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ বিহীন দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছে। বিদ্যুৎ বাঁচাতে ৮টায় বাজার বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে সরকার।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকালে ৭:৩৪ এ নেমে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।"
পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, করাচি ও লাহোরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে যাত্রীদেরও দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর ও রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে।
কোয়েটা, ইসলামাবাদ, লাহোর, মুলতান এবং করাচির মতো বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা সহ অনেক জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লাহোরের মল রোড, ক্যানাল রোড এবং অন্যান্য এলাকার মানুষ বিদ্যুত সংকটে ধুঁকছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রান্সমিশন লাইনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাঞ্জাব এবং রাজধানীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক আসাদ আলি তোর ট্যুইট করেছেন, "পাকিস্তানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় রয়েছে।" কে-ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা এক ট্যুইটার পোস্টে বলেন, “বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর আসছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং শিগগিরই এ বিষয়ে তথ্য জানাব।"
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়ে পাকিস্তান। সেই সময়ে করাচি এবং লাহোর সহ দেশের বড় অংশ ১২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন ছিল। অনেক এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।
No comments:
Post a Comment