মুখ্যমন্ত্রী মমতা গরু পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে। ৩০ জানুয়ারী বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময়, অনুব্রত মন্ডল কেবল শারীরিকভাবে নয়, ফটোতেও অনুপস্থিত থাকবেন। বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি পোস্টার বা ব্যানারে কোথাও থাকবে না। শনিবার তৃণমূল জেলা কমিটির বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। জেলার দলীয় নেতার নির্দেশে জল্পনা জোরদার হয়েছে।
এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করলে কোর কমিটির আরেক সদস্য অভিজিৎ সিংহ বলেন, আইনি জটিলতার কারণে দলকে এই কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি জেলা সফরে বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে প্রশাসনিক বৈঠক হবে। বহুদিন পর এই জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাকবাংলা ময়দানে সমাবেশের দায়িত্ব নিতে শনিবার বিকেলে বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে দলের জেলা কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় সংগঠনের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেখানে জমায়েত হবে প্রায় তিন লাখ।
দলের তরফে জানানো হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে প্রচুর সংখ্যক তৃণমূল কর্মী উপস্থিত থাকবেন। সব মিলিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করলে বিরোধীদের কাছে একটা বার্তা যাবে যে দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। বৈঠক শেষে ব্যানার বা পোস্টারে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি না লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একথা শুনে শ্রমিকরা কিছুটা অবাক হন। এই সিদ্ধান্তের পিছনে দলের একাংশের দাবী, দাবাং নীতির অবসান ঘটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও বিরোধীদের দাবী, ক্লিন ইমেজ ধরে রাখতে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তবে বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে তাঁর কর্মীরা, তাঁর সংগঠনকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন।" তবে ছবি না রাখার বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের ছবি আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। সেটা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
No comments:
Post a Comment