নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা উচিৎ। সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে এমনই দাবী করলেন তৃণমূল নেতা। এদিন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ একটি ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, “নেতাজিকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানাতে, মুখার্জি কমিশন বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব প্রত্যাখ্যান করার পরে, নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিৎ। রেনকোজির মন্দিরের ভস্ম ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আনা উচিৎ এবং অস্থায়ীভাবে হলেও স্বাধীন ভূমিতে আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা উচিৎ।"
সোমবার মাঠে অবস্থিত নেতাজির মূর্তির সামনে ফুল দেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে শঙ্খ বাজানো হয় এবং সাইরেন বাজানো হয়।
তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার দাবী জানান। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্বাধীনতার প্রধান স্থপতি বলে উল্লেখ করেছেন। এদিন রানি রাসমণি রোডে অবস্থিত নেতাজির মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, “ভারতীয় ও বাঙালি হিসেবে আমরা খুবই গর্বিত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।"
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে লিখেন, “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অদম্য সাহস ও আত্মাকে স্যালুট। তিনি আমাদের কেবল বীরত্ব ও সততার পথ দেখিয়েছেন। কোনও বিকল্প নেই। আমাদের দেশপ্রেম জাগ্রত করেন। আমরা নেতাজির আদর্শের জন্য লড়াই করি।"
অন্যদিকে, কলকাতার শহীদ মিনারে সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আরএসএস। অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় মোহন ভাগবত বলেন, “নেতাজির স্বপ্ন, আমাদের সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে হবে। ভাগ্য সহায় হলে তিনি আগেই দেশ শাসন করতে পারতেন। নেতাজি যা করেছেন, সঙ্ঘ তাই করছে। নেতাজি দেশের উন্নতি দেখতে চেয়েছিলেন। এটাই চায়। সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের দেশের রয়েছে। আমাদের সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।"
No comments:
Post a Comment