ঐতিহ্যবাহী ফসলের চেয়ে ভিন্ন চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন দেশের কৃষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের অর্থনীতিও মূলত এই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষকরা যদি ফসল থেকে ফলন চায়, তাহলে তা করতে হবে উন্নত প্রযুক্তি ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে। কিছু ফসল এমন যে সাধারণ প্রবণতা থেকে আলাদা। তাদের থেকেও প্রচুর মুনাফা পাওয়া যায়। এমনই মিষ্টি মটর ফুলের চাষ। আজকে এই বিষয়ে জানা যাক।
বপন
সাধারণত জানুয়ারি থেকে বসন্তের শেষ পর্যন্ত মিষ্টি মটর ফুলের ফসল বপন করা হয়। এর শিকড়ের গঠন আঁশযুক্ত। নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোজেন সম্পর্কিত ব্যাকটেরিয়া শিকড়ে পাওয়া যায়। এটি গাছের ভালো বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর জন্য, 19 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে 28 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে একটি ভাল তাপমাত্রা থাকা ভাল, তার মানে কিছু ঠান্ডা এবং আর্দ্র জায়গায় তাদের ভাল ফলন বেশি হয়। সেচের যত্ন নিতে হবে। ফুল নষ্ট হয়ে গেলে ছেঁটে ফেলতে হবে।
মিষ্টি মটর ফুল দেখতে ততই আকর্ষণীয়। এর গন্ধ তত ভালো। শীতকালে বপন করলে গ্রীষ্মকালে ফুল আসতে শুরু করে। এর ফুল বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। লোকেরা উদযাপন এবং বিশেষ পার্টিতে এই ফুল দিয়ে সাজায়। হোটেল, শোভাযাত্রা ও বাড়ির মণ্ডপ দেখা যায় এসব ফুল দিয়ে সাজানো। ফুল বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন চাষিরা।
ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ
মিষ্টি মটর ফুলের ঔষধি গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। এর ফুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এটি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি জ্বর, প্রদাহ, বাতের ব্যথা, চর্মরোগে ব্যবহৃত হয়। এর ফুলে পি-কুমারিন অ্যাসিড, ডেলফিফেনিডিন গ্লুকোসাইডের মতো উপাদান রয়েছে। এটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। এর ফুল খেলে এটি মস্তিষ্কে অ্যাসিটাইলকোলিন বাড়াতে কাজ করে। এতে স্মৃতিশক্তি যেমন শক্তিশালী হয়, তেমনি একাগ্রতাও বাড়ে। এছাড়াও সূর্যের আলোর কারণে চোখ জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে। এছাড়াও রক্ত সরবরাহ বাড়ায়।
No comments:
Post a Comment