প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পর 'মিড ডে মিল' নিয়ে বিতর্কের ঝড় রাজ্য জুড়ে। কোথাও মিড-ডে মিলের মধ্যে টিকটিকি পাওয়া গেছে, আবার কোথাও মৃত সাপ পাওয়া গেছে এবং এর জেরে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজনৈতিক আঙিনাও। এই উত্তেজনার মাঝেই এবার বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তৈরি যৌথ পর্যালোচনা দল। রাজ্যে পিএম পোষণ শক্তি মিশনের কাজ কীভাবে চলছে, তা খতিয়ে দেখতে জানুয়ারিতেই রাজ্যে আসছে এই দল। পুষ্টিবিদ ছাড়াও এই দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের আধিকারিক৷
সূত্রের খবর, রাজ্যের বরাদ্দকৃত অর্থ বিদ্যালয়ে ঠিকমতো যাচ্ছে কি না! প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের পরিকাঠামো কেমন? রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ অনেক বিষয়ে তদন্ত করতে আসছে দলটি।
পিএম পোষণ যোজনা দলের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে একাধিক জেলায় মিড-ডে মিল নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠে এসেছে। অনেক বার মিড-ডে মিলের জিনিসে কারচুপির অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি মিড-ডে মিলে কখনও সাপ, কখনও ব্যাঙ আবার কখনও টিকটিকি ভাসতে দেখা গেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলায় জেলায় গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখবে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে কীভাবে সব কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছিল রাজ্য। মিড-ডে মিলের তালিকায় মুরগির মাংস, মৌসুমি ফল যোগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনার পক্ষে অনুমোদন দিয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে, দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহ করা হয়। পাঁচ বছর ধরে এই স্কিম শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই প্রকল্পে ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছিলেন। এই প্রকল্পটি সরকারের 'মিড ডে মিল' প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত। রাজ্য সরকারগুলির সাথে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র এই প্রকল্পের বেশিরভাগ ব্যয় বহন করে।
No comments:
Post a Comment