রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী তদন্ত দাবী করেছিলেন। আবাসন প্রকল্পের কাজকর্ম ও কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফের বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় দল। দলের প্রতিনিধিরা মোট দশটি জেলা সফর করবেন। কেন্দ্রীয় দল মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা সফর করবে।এরই মধ্যে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন এই দলটি অন্যান্য জেলায় গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের পূর্ণ সহযোগিতা পাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। গত সপ্তাহে, ছয় কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য সফর করেছিল। দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তারা দুটি ভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। প্রতিটি দলে তিনজন আধিকারিক ছিলেন।
কেন্দ্রীয় দল যে দুটি জেলায় যাবে তা হল পূর্ব মেদিনীপুর ও মালদহ। কোন আধিকারিক কোন জেলায় যাবেন তাও কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহে রাজ্যের দুটি জেলা সফর করেছে। আবাসনের অবস্থা খতিয়ে দেখতে বাংলার ১০টি জেলায় পাঁচটি পরিদর্শন দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশাসনিক পর্যায়ে অনুমোদনের পর বাড়ি নির্মাণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও বরাদ্দে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি রাজ্য সরকার।
আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির বহু অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে প্রভাবশালীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই ক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের নাম সামনে আসছে। বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী শহীদ মিটিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলেন। কয়েকদিন আগেই সতর্ক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগে মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দল এসেছিল। কেন্দ্রীয় দল এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে এবং সেই দলের রিপোর্টের পর আগামী সপ্তাহে আবার কেন্দ্রীয় দল আসছে। এই দলটি বিভিন্ন জেলাও পরিদর্শন করবে।
No comments:
Post a Comment