দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি উপলক্ষে মঙ্গলবার পঞ্চায়েতে আসার কথা ছিল বারাসতের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। কিন্তু এরপরেও তিনি কার্যালয়ে আসেননি। এরপরেই ওই ২৪ জন পদত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ভবনে ও সাংসদকে অনলাইনে ইস্তফা-পত্র পাঠিয়ে দেন তারা। ঘটনায় শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।
এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে কদম্বগাছিতে আসেন বারাসতের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে শীতলা মন্দিরে যান, সঙ্গে ছিলেন বারাসতের ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদুজ্জামান। গাড়ি থেকে নামার সময় তাকে কেউ পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ এবং তিনি পায়ে চোট পান বলে দাবী। এরপর সাংসদ পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিশ্রাম নেন এবং সেখানে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিন সূচি অনুযায়ী তিনটের সময় পঞ্চায়েত সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পঞ্চায়েতে আসার কথা ছিল সাংসদের। কিন্তু তিনি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ফিরে গেলেও পঞ্চায়েতে ঢোকেননি, এই থেকেই ঘটনা সূত্রপাত। কার্যালয়ে না ঢোকা এবং সুরক্ষা কবচ অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতের সদস্যদের না ডাকার কারণে এই ইস্তফা। সাংবাদিক সম্মেলন করে পদত্যাগপত্র দেখান পঞ্চায়েত সদস্যরা, সঙ্গে এক রাশ ক্ষোভও উগরে দেন। তবে, প্রধানের পদ থেকে এখনই ইস্তফা নয়, দলের সাধারণ সমর্থক হিসেবে থাকবেন বলেও জানান কদম্বগাছির প্রধান গৌতম পাল।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, 'আমি তো বলেছি, আগামী দিনে এই দলটাই থাকবে না। শুরু হয়ে গেছে তার প্রক্রিয়া।' তিনি আরও বলেন, 'এখন সবাই ডুবন্ত জাহাজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। পুরো পঞ্চায়েতটাই আজ ইস্তফা দিয়েছে। তার মানে দলের প্রতি তাদের কোনও ভরসাই নেই। আগামী দিনে সব জায়গায় এই একই অবস্থা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে মানুষের টাকা লুট করেছে, চুরি করেছে, বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, তৃণমূল দলটাই আগামীতে আর থাকবে না, কদম্বগাছির এই ঘটনা এরই শুভ সূচনা।'
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই একেই শাসক-বিরোধী তরজা চরমে। তার ওপর দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার সাবধান করলেন ক্ষোভ প্রশমন তো দূর বরং তা আরও বাড়ছে। এতে করে শাসক দলের সমস্যাও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
No comments:
Post a Comment