শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে গর্ভাবস্থায় মাতৃগর্ভে নয়টি গ্রহের প্রভাব পড়ে, যার প্রভাব সন্তানের উপর দেখা যায়। এ কারণে গর্ভাবস্থায় মায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ ।
পৃথিবীর প্রতিটি জীব তার প্রজাতিকে আরও এগিয়ে নিতে নতুন সন্তানের জন্ম দেয়। মানুষও এই প্রাণীদের মধ্যে একটি। আমরা জানি, গর্ভাবস্থায় যে কোনো মহিলার গর্ভাবস্থা প্রায় ৯ মাস ৯ দিন। এই ৯মাসে শিশুটি মায়ের গর্ভে বেড়ে উঠছে। গর্ভাবস্থায় মাতৃগর্ভে নয়টি গ্রহের প্রভাব পড়ে, যার প্রভাব সন্তানের উপর দেখা যায়। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে শুক্রের প্রভাব দেখা যায়।
শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে গর্ভবতী মাকে যেকোনো ধরনের দান এড়িয়ে চলতে হবে এবং খাবারে টক জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় মাসে, মঙ্গলের প্রভাব গর্ভে প্রাধান্য পায়। এ সময় মায়ের মিষ্টি খাওয়া উচিৎ । এটি সন্তানের মঙ্গলকে শক্তিশালী করে। তৃতীয় মাসে গর্ভে বৃহস্পতি গ্রহের প্রভাব রয়েছে। এই সময়ে দুধের তৈরি মিষ্টি জিনিস খাওয়া ফলদায়ক। চতুর্থ মাসে গর্ভবতী মা ও শিশুর ওপর সূর্যের প্রভাব দেখা যায়। সূর্যকে শক্তিশালী করতে ফলের রস খাওয়া উচিৎ । এ ছাড়া মেরুন বা লাল রঙের কাপড় পরতে হবে। এটি সূর্যকে শক্তিশালী করে তোলে, আপনার পথে কোনও বাধা আসে না।
পঞ্চম মাসে চাঁদের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। দুধ, দই, ভাতের মতো সাদা জিনিস খাওয়া চাঁদকে শক্তিশালী করে। এ সময় সাদা পোশাক পরলে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই উপকার হবে। ষষ্ঠ মাসে শনির প্রভাব দেখা যায়। ষষ্ঠ মাসে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ জিনিস খেতে হবে। এ ছাড়া খাবারে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট জিনিস রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থার ৭ তম মাসে, বুধের প্রভাব সন্তানের উপর আধিপত্য করে এবং তারপরে চন্দ্র এবং সূর্যের প্রভাব যথাক্রমে ৮ তম এবং ৯ তম মাসে দেখা যায়। মনে রাখবেন, ৭ম মাসে মায়ের বিশেষ করে ফলের রস খাওয়া উচিৎ । এই ব্যবস্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনার শিশু সুন্দর ও বুদ্ধিমান হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment