টাকা দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি, জেলায় জেলায় এভাবেই ফাঁদ পেতেছিলেন বাগদার সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। তবে, খাতায়-কলমে নয়, প্রচার ছিল সবটাই মুখে-মুখে। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবী, রঞ্জন বিভিন্ন জেলায় সাব এজেন্ট রেখে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এবং তাদের মাধ্যমে চলত টাকার লেনদেন, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবী সিবিআইয়ের। রঞ্জনের সেই সাব-এজেন্টরাও এবারে সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে ডেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাকে আদালতেও পেশ করে সিবিআই। এর আগে ২১শে জানুয়ারি চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবী, তার সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগ ছিল।
বাগদার মামা ভাগিনা গ্রামের সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের নাম প্রথমবার সামনে আনেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। তিনি দাবী করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন রঞ্জন, আর তা পাচার হয়ে যেত কলকাতায়। মামা ভাগিনা গ্রামের অনেক বাসিন্দাও অভিযোগ তোলেন, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতেন রঞ্জন। এরপর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো রাঘব বোয়ালদের পাশাপাশি চন্দন মণ্ডলের নামও ঘুরতে থাকে রাজ্যবাসীর মুখে মুখে। শেষমেষ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাকেও গ্ৰেফতার করল সিবিআই।
No comments:
Post a Comment