দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে বা অসুস্থ ব্যক্তির রক্তের প্রয়োজন হলে তার রক্তের গ্রুপের একজন ব্যক্তি তাকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করে । এমতাবস্থায় সঠিক রক্তের গ্রুপের কাউকে সময়মতো পাওয়া না গেলে আহতের মৃত্যুও হতে পারে। এজন্য ব্লাড ব্যাংক তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু কখনও কি পশুদের ব্লাড ব্যাঙ্কের কথা শুনেছেন? হ্যাঁ, বিশ্বের অনেক দেশেই 'পেটস ব্লাড ব্যাংক'ও আছে। বেশিরভাগ পোষা কুকুর এবং বিড়ালের রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে পাওয়া যায়।
কুকুর-বিড়ালের 'ব্লাড গ্রুপ' :
কোনও কুকুর বা বিড়ালের রক্তের প্রয়োজন হলে এই ব্লাড ব্যাংক থেকে তাদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। কুকুর এবং বিড়ালেরও মানুষের মতোই বিভিন্ন ধরণের রক্তের গ্রুপ রয়েছে। কুকুরের প্রায় ১২ ধরনের রক্তের গ্রুপ রয়েছে, আর বিড়ালের রক্তের গ্রুপের সংখ্যা তিনটি।
উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত 'ভেটেরিনারি ব্লাড ব্যাঙ্ক'-এর দায়িত্বে থাকা ডক্টর ক্যাসি মিলস ব্যাখ্যা করেছেন যে ক্যালিফোর্নিয়ার ডিক্সন এবং গার্ডেন গ্রোভ শহরগুলি ছাড়াও, ভার্জিনিয়া, স্টকব্রিজ সহ উত্তর আমেরিকার অনেক শহরে প্রাণীর রক্তের ব্যাঙ্ক রয়েছে।
ডক্টর মিলস জানান, পশুদের রক্তদান প্রক্রিয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টা সময় লাগে। প্রাণীদের রক্তদানের প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের অ্যানেশেসিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেন ও আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ পশুর রক্তদানের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তবে এখনও অন্যান্য জায়গায় পশুর রক্তদান সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এদেশে পশুদের জন্য একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই ব্লাড ব্যাঙ্কের নাম 'তনুভাস অ্যানিমাল ব্লাড ব্যাঙ্ক' যা তামিলনাড়ু ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ ভেটেরিনারি কলেজ টিচিং হাসপাতালের ক্লিনিক বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয়।
No comments:
Post a Comment