পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অজ্ঞাত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব করেছেন যে কোনও স্বেচ্ছাসেবক ভাল কাজ করলে তাকে স্থায়ী করা হবে। তবে এ সুযোগ কোথায় ও কারা পাবে। এর জন্য কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি নিজের হাতে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অনেক পুলিশ পদ খালি রয়েছে। কারণ অনেক কনস্টেবল পদোন্নতি পেয়েছেন। আগামী দিনে আরও পদ শূন্য হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র দফতরকে সেখানে দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যায় কিনা তা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, পদোন্নতির জন্য প্রথমে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে পারদর্শী হতে হবে। তারা প্রতিটি কাজ দায়িত্বের সাথে করছে কি না তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে। দ্বিতীয়ত, থানায় কনস্টেবলের পদ খালি থাকলেই এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। যাদের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করবে তাদের তৃতীয় সুযোগ দেওয়া হবে। এই দায়িত্ব প্রধানত জেলার পুলিশ সুপারের উপর বর্তায়। সিভিক ভলান্টিয়াররা যে থানার ওসি এবং এসডিপিওর রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে।
বর্তমানে, কলকাতা সহ জেলাগুলিতে, সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশকে টহল বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অনেক জায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়াররা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের বিশ্বাস এখন পদোন্নতি দেওয়া হলে অনেকেই তাদের কাজে মনোযোগ দেবেন। এতে পুরো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব পড়বে।তবে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে এই প্রস্তাব দিয়ে শাসক দল রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment