আজ, শুক্রবার টেটের ফলপ্রকাশ হল। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১১ ডিসেম্বর। ঠিক দুই মাস পর শুক্রবার টেটের ফল ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরিষদের সভাপতি গৌতম পাল সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “টেট ১১ ডিসেম্বর হয়েছিল। দুই মাসের মধ্যে টেটের ফল ঘোষণা করা হল। নথিভুক্ত করেছিলেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার। পাস করেছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। পাসের হার ২৪.৩১ শতাংশ।
টেট পরীক্ষায় ৬৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা পাস করেছে। তার পাসের হার ৪৬.১২১। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৭ জন পুরুষ। তার পাসের হার ৫৩.৮৭। পাস করেছে আরও ৬ জন। ১ থেকে ১০ এর মধ্যে ১৭৭ জন রয়েছে।
প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিং। ১৫০ এর মধ্যে ইনা পেয়েছে ১৩৩ নম্বর। দ্বিতীয় নম্বরে ৪ জন। চারজনই মহিলা। এরা হলেন হুগলির মৌনিসা কুন্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুরের দীপিকা রায়, পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। তৃতীয় স্থানে এসেছেন চারজন। এর মধ্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভট্ট, বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মণ্ডল। প্রার্থীরা শুধুমাত্র শুক্রবার ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবেন। বিকাল ৩টা থেকে ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। ওএমআর বারকোড নম্বর সহ ফলাফল থাকবে।
কাউন্সিলের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, "আপনাদের কপির সাথে আপনাদের অনুলিপি তুলনা করুন এবং দেখুন কোনও অমিল আছে কিনা।" পোস্ট প্রকাশনা তদন্ত এবং যাচাই করার একটি সুযোগ। প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে OMR শীটও দেখতে পারবেন। প্রশ্নে 'প্রযুক্তিগত ত্রুটি' বা কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি থাকলে প্রত্যেকেই ৪ নম্বর পাবে। প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্ম তারিখ সহ ওয়েবসাইটেই ফলাফল দেখতে হবে। একই সঙ্গে এ বছর আবার টেট নেওয়ার ঘোষণা দেন পরিষদের চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষক বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক অধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই।
No comments:
Post a Comment