নবরাত্রির চতুর্থ দিনে পূজো করা হয় মা কুষ্মাণ্ডার । শাস্ত্র মতে, দেবী তার ম্লান হাসি দিয়ে শরীর দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। মথুরায় একটি অতি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। যার সম্পর্কে আজকে জেনে নেব-
মথুরার মহাবন এলাকায় যমুনা পার হওয়ার পথে মা চন্দ্রাবলী দেবীর একটি ৫০০০ বছরের পুরনো মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরের কাহিনী দ্বাপর যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত। দ্বাপর যুগে রাধা রানীর অনেক বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল চন্দা নামে এক বন্ধু, সে ভগবান কৃষ্ণকে গোকুলে আসার জন্য জোর করতেন।
একবার ভগবান কৃষ্ণ রাধা রানী ও তার বন্ধুদের নিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণের পিতা নন্দর সঙ্গে দেখা করতে। কিছুদূর হাঁটার পর চন্দা গোকুলের কাছে যেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং শ্রীকৃষ্ণকে দাঁড়াতে বলেন।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তখন চন্দাকে বলেন " দাঁড়াও আমি আমার পিতাকে এখানে আনছি, তুমি এখানে দেখা করো" এই বলে চন্দা ওখানে বিশ্রাম করতে বলে চলে যান। চন্দা সেখানে শ্রী কৃষ্ণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর তাই ঠিক ওই জায়গায় চন্দ্রাবলী মার মন্দির আছে। এর সাথে এটিও বলা হয় যে আজও মা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্য অপেক্ষা করে, বট গাছের নীচে বসে ভক্তদের দর্শন দেন।
কথিত আছে যে, আজও সেখানে মায়ের মন্দির নির্মাণ করা যায়নি। মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করলে সেই কাজে কোনো না কোনো বাধা আসে এবং সেই মন্দির নির্মিত হয় না। দূর্গা পূজোর সময় এখানে বিশেষ ও জমকালো মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রতি সোমবার এই মন্দিরে মেলা বসে, হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার মায়ের আরাধনা করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মা সকলের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন।
No comments:
Post a Comment