সবগুলি পুরাণ থেকে গরুড় পুরাণ আলাদা। কিন্তু কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১৮টি পুরাণ ও উপপুরাণ লিখেছেন মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস । গরুড় পুরাণও তার মধ্যে অন্যতম। এতে রয়েছে মোট ১৯ হাজার শ্লোক , যাতে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি অবতারের কথা বলা হয়েছে। এতে সূর্য, চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহসহ অলৌকিক জগতের ৯টি শক্তিও বর্ণনা করা হয়েছে।
হিন্দু ধর্মে মোট ১৮টি পুরাণ রয়েছে। যাদের নাম হল- ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, বায়ু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, নারদ পুরাণ, মার্কন্ডেয় পুরাণ, অগ্নি পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ব্রহ্ম বৈবর্ত পুরাণ, লিঙ্গ পুরাণ, বরাহ পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, কুমারপুরাণ, কুমারপুরাণ মৎস্য পুরাণ, গরুড় পুরাণ, ব্রহ্মান্ড পুরাণ। এতে ব্রহ্মপুরাণকে প্রাচীনতম এবং স্কন্দপুরাণকে সবচেয়ে বড় পুরাণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গরুড় পুরাণ কীভাবে অন্যান্য ১৭টি পুরাণ থেকে আলাদা?
১৮টি পুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণও একটি। এটি আলাদা হওয়ার কারণ এই যে, এই গ্রন্থটি অগ্নিপুরাণের পরে রচিত।
গরুড় পুরাণে, ভগবান বিষ্ণু এবং গরুড় পাখি মধ্যে জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে কথোপকথন বলা হয়েছে। গরুড়রাজ ভগবান বিষ্ণুর কাছ থেকে জীবন-মৃত্যু সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করেন এবং তা তিনি ঋষি কাশ্যপকে জানান।
No comments:
Post a Comment