রাজ্যসভায় তাঁর ভাষণে কর্মসংস্থান নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে তিনি জানান, তার সরকারের আমলে কোন কোন এলাকায় কর্মসংস্থান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, "যারা চাকরি ও রোজগারের পার্থক্য জানেন না, তারা আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন।" উল্লেখ্য, গত নয় বছর ধরে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা দাবী করে আসছে যে মোদী সরকারের আমলে বেকারত্ব বেড়েছে। রেলওয়ে নিয়োগ, অগ্নিবীর প্রকল্প সহ সমস্ত ইস্যুতে সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা।
রাজ্যসভায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এখানে কর্মসংস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। কংগ্রেসের নাম না করেই আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, চাকরি ও রোজগারের মধ্যে পার্থক্য আছে তা তারা জানেন না। তিনি বলেন, “যারা চাকরি আর রোজগারের পার্থক্য বোঝেন না, তারা আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন। নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে, অর্ধ-অসম্পূর্ণ জিনিসকে ধরে নিয়ে মিথ্যা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। গত নয় বছরে অর্থনীতির প্রসার। নতুন নতুন খাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ দেশটি সবুজ অর্থনীতিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, যার দরুন মাটিতে সবুজ কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রসারের সাথে সাথে ডিজিটাল অর্থনীতির একটি নতুন খাত তৈরি হয়েছে। গ্রামের ভেতরে পাঁচ লাখ কমন সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। একটিতে, দু-পাঁচজন লোক তাদের প্রতিদিনের রুটি উপার্জন করে।"
তিনি আরও বলেন, "৯০ হাজার নিবন্ধিত স্টার্টআপ কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। এপ্রিল থেকে ২০-২২ নভেম্বরের মধ্যে, এক কোটিরও বেশি লোক EPFO-তে যুক্ত হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনার মাধ্যমে ৬০ লক্ষেরও বেশি কর্মচারী উপকৃত হয়েছেন। মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, ড্রোন, মাইনিং উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক ক্ষেত্র উন্মুক্ত করেছে, যার কারণে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় নতুন গতি এসেছে। তরুণরাও এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৩৫০টির বেশি বেসরকারি কোম্পানি এসেছে এবং এক লাখ কোটি টাকা রপ্তানি হচ্ছে। এতে নজিরবিহীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতা থেকে পর্যটন, প্রতিটি সেক্টরই বিস্তৃত হয়েছে। খাদি গ্রামশিল্পও ডুবে গিয়েছিল, কিন্তু সবচেয়ে বেশি রেকর্ড ব্রেকিং কাজ হয়েছে আমাদের সরকারে। পরিকাঠামো খাতে রেকর্ড বিনিয়োগ হচ্ছে। এতে শিল্পে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়ে।
No comments:
Post a Comment