অ্যাডিনোভাইরাসের কারণে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ৩ শিশুর মৃত্যুর খবরে বাড়ল উদ্বেগ। যদিও তাদের শরীরে এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনজনের মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড ভাবে ভর্তি ছিল দুই শিশু, আরেকজন ভর্তি ছিল বিসি রায় শিশু হাসপাতালে।
এই নিয়েই গত ২৪ ঘন্টায় মোট পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। গত তিনদিনে এই পরিসংখ্যান ১০, স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড ভাবে ভর্তি দুই শিশুর একজনের বাড়ি উদয়নারায়নপুরে, বয়স মাত্র ১ বছর ৮ মাস। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে দেখানোর পর তাকে কলকাতা মেডিক্যালে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়া ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, মঙ্গলবার সকাল ৭:৩০ নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। তার মৃত্যু সংশাপত্রে যদিও নিউমোনিয়া উল্লেখ করা হয়। জানা গিয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অপর শিশুর বয়স ৬ মাস, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। তার শরীরে এডিনো ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। জানা গিয়েছে তাকে প্রথমে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে শারীরিক অবস্থা আর কিছুটা উন্নতি হলে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় তাকে এরপর ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি তখন তাকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়, এদিন সকালে তারও মৃত্যু হয়েছে।
মৃত আর এক শিশুর বয়স দু'মাস, হরিণঘাটার বাসিন্দা। তার শরীরে সর্দি-জ্বর ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। সোমবার কল্যাণী হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল, মঙ্গলবার সকালে সেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
ক্রমশই যেন চওড়া হচ্ছে অ্যাডিনোভাআরাসের থাবা। এর মধ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে জরুরি বৈঠকও সেরেছে স্বাস্থ্যভবন। হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, তার প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
No comments:
Post a Comment