বাংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসার জন্য NRS হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে অভিজিতের মা মাধবী সরকারের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা ছিল। পুলিশি নিরাপত্তায় ঘেরা মাধবী আদালতে এলেও পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে আদালতের দিকে হেঁটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাথা ঘুরছিল। উপস্থিত পুলিশকর্মী ও মাধবীর ছেলে বিশ্বজিৎ তাদের ধরে ফেলেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে অভিজিতের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার পুলিশ সুরক্ষা চেয়ে সোমবারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নারকেলডাঙা পুলিশকে অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাঁকুড়গাছি বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন মামলায় সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার আদালতে গিয়েছিলেন অভিজিৎ সরকারের মা মাধবী সরকার। আজ সকালে শিয়ালদহ আদালতে তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। আদালতের নির্দেশে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এদিকে আদালত চত্বরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা মাধবী সরকার। মাকে পড়ে যেতে দেখে বিশ্বজিৎ ও আশেপাশের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলেন। পরে বিশ্বজিৎ সরকার তাকে দ্রুত পুলিশের সহায়তায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সেখানকার চিকিৎসকদের মতামত নেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে। তবে শারীরিক অসুস্থতা ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভোট-পরবর্তী সহিংসতায় নিহত অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার তার মায়ের শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে বলেছিলেন যে তার উচ্চ রক্তচাপ ছিল।বিশ্বজিৎ আরও বলেন, তার মা আগে থেকেই একটু অসুস্থ ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। একই বছরের ২ মে কাঁকুড়গাছির শীতলতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিজিতের পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে। তার দাদা বিশ্বজিৎ সরকার তার ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই ঘটনায় জড়িত বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের নাম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরেশকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
No comments:
Post a Comment