শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ফের কেঁদে ভাসালেন আদালত। তার শারীরিক অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে তিনি কাঁদতে থাকেন। তার আইনজীবী জানান, অর্পিতার স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা রয়েছে। এরপরই অর্পিতা দাবী করেন তিনি নির্দোষ। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে তিনি "মানসিকভাবে নির্যাতিত" বোধ করেছেন। তাদের সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুজনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে হাজির হন। এ সময় অর্পিতাকে বেশ অসহায় লাগছিল।
সেখানে অর্পিতা তার অসুস্থতার কথা বলে কান্নাকাটি শুরু করেন। তার আইনজীবী জানান, অর্পিতার স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা রয়েছে। পেট ব্যাথা আছে। কারাগারে তাকে শুধু ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসা দরকার। অর্পিতা আরও দাবী করেন যে সে 'ষড়যন্ত্রের' শিকার। তিনি বলেন, “আমি জানি, আমি নির্দোষ, আমি রাজনীতি করি না। আমি জানি না কেন আমাকে ষড়যন্ত্রের শিকার করা হচ্ছে।” এর পর অর্পিতা জোরে জোরে কাঁদতে থাকেন। এর আগেও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কারাগার ও আদালতে বহুবার কাঁদতে দেখা গেছে।
তার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবী পার্থর। তিনি বলেন, “আমি আমার সামাজিক সম্মান হারাচ্ছি। আমি মানসিকভাবে নির্যাতিত বোধ করছি।" শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পার্থ ও অর্পিতা। তিনি টাকা নিয়ে 'অযোগ্য' প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ২২ জুলাই নাকতলার বাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছিল ইডি। তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই সময়ে, ইডি আধিকারিকরা টালিগঞ্জে তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' সহযোগীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। ইডি প্রায় ২১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে। এর পরই ২৩ জুলাই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পার্থ ও অর্পিতাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment