তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র তার বাকবিতণ্ডার কারণে আবারও খবরে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে অবমাননাকর কথা বলার অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই বিষয়ে বাংলার ক্ষমতাসীন তৃণমূলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানিয়েছে। তবে এই প্রথম নয় যে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি বহুবার এই ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার লোকসভায় আদানি গ্রুপ সম্পর্কিত মামলার বিষয়ে মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন যে 'মিস্টার এ' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সমগ্র জাতি এবং সমগ্র ঘটনাটির তদন্ত হওয়া উচিৎ। শিল্পপতি গৌতম আদানির নাম না নিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে তাকে নিশানা করে বলেন, "এখন যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে, তখন দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং সরকারকে এ বিষয়ে পূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে। তদন্ত হওয়া উচিৎ।" তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী, 'মিস্টার এ' আপনাকে টুপি পরিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী, তিনি আপনাকেও পরিয়েছেন।'
এছাড়াও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে, একজন ব্যক্তি যখন একজন সাংবাদিক হিসাবে পোজ দিচ্ছেন, তখন তৃণমূল নেত্রী তাকে নদীয়া জেলায় সভার স্থান ত্যাগ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাকে বলতে শোনা গেছে, 'কিসনে দো পয়সা কি প্রেস কো ইয়াহান বুলায়া হ্যায়? ওদের এখান থেকে বের করে দিন। আমাদের দলের কিছু সদস্য এমন লোকদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ডেকে টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য। এই কাজ হবে না।'
এ বিষয়ে কলকাতা প্রেসক্লাব আপত্তি তুলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানায়। বলা হয়েছিল, 'একজন সাংবাদিক তার পেশার জন্য কী সংগ্রাম করেন এবং তার সামাজিক দায়িত্ব কী, তা সবারই জানা। একজন সংবাদমাধ্যমকর্মীকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। আমরা এমপির বক্তব্যের নিন্দা জানাই এবং আশা করি তিনি তা প্রত্যাহার করবেন এবং ক্ষমা চাইবেন।
তবে পরে তিনিও ট্যুইটের মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেও আরও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আসলে, তিনি তার উত্তরে মিমের উল্লেখ টিজ করেছিলেন।
তার বক্তব্যের পর ব্যাকফুটে দেখা গেছে তৃণমূলকেও। সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'তিনি তাঁর বিবৃতিতে যা বলেছেন তা দলের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বিশ্বাস করেন এবং সংবাদমাধ্যমের সাথে তথ্য শেয়ার করেন। আপনি আমাদের বিরুদ্ধে লিখলেও আমরা মিডিয়ার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখি।'
No comments:
Post a Comment