সকাল সকাল শহরে ইডির হানা। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ কলকাতায় ৫৬ শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে অভিযান চালায় ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ গেমের তদন্তে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা দাবী করেন, ভবানীপুরে বেশ কয়েকটি মধ্যবিত্তের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা হয়েছিল।
ইডি সূত্রে খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। সূত্রের খবর, আমির খানের গার্ডেন রিচের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর আমিরকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন সূত্র পাওয়া গেছে। কলকাতা শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের ঠিক সামনে একটি বস্তিতে হানা দিয়েছে ইডি। সকাল থেকেই চলছে তল্লাশি। ইডি আধিকারিকরা ক্রমাগত তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং তদন্ত করছেন।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের একটি বড় অংশের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই বসতিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর আগে ২০ তারিখে একই এলাকার যুবক অঙ্কিত শাহের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। পাড়ার আরেক যুবক রোহনের মোবাইল ফোনও ছিল ইডি-র কাছে।
সূত্রের খবর, রোহন বা অঙ্কিত খুবই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অঙ্কিতের বাবা একটি বেসরকারি অফিসে পিয়নের চাকরি করেন। ইডি সূত্রের খবর, অঙ্কিত-রোহানের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করা হয়েছিল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হত। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি আমির খানের ই-নাগেটসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
কিন্তু এই তদন্তে ইডি সেই মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজছে, যার নির্দেশে এই যুবকরা তাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া হিসাব দিতে রাজি হচ্ছে। ইডি মনে করছে, কেউ এমনি-এমনি এভাবে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেবে না। অন্য কথায়, তারা মনে করেন, এই বিষয়ে কোনও প্রভাবশালীর প্রভাব থাকতে পারে। সূত্রের খবর, আজ অঙ্কিতের ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে অন্যান্য তথ্য দেখতে চাইতে পারে ইডি।
এর আগে, আমির খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন যে আমির বিভিন্ন জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতেন, যার মধ্যে একটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি। ইডি সূত্রে জানা গেছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টেও টাকা যায়। তখন ইডি সন্দেহ করে যে টাকা বিদেশে চলে গেছে। পুলিশ আমিরের নামে ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করেছে। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে এবং ভাড়ায় তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল বলে দাবী।
No comments:
Post a Comment