ট্যুইটারের সিইও-র চেয়ারে নতুন মুখ! নতুন মুখের থেকে অবশ্য নতুন প্রাণী বলাই শ্রেয়। অবাক হলেন নিশ্চয়ই! অবাক হলেও সত্যি, একটি কুকুরকে ট্যুইটারের সিইও বানিয়েছেন এলন মাস্ক। এই কুকুরটি এলন মাস্কের পোষ্য, নাম ফ্লোকি। এটি শিবা ইনু জাতের কুকুর। এর আগে পরাগ আগরওয়াল ট্যুইটারের সিইও ছিলেন, কিন্তু মাস্ক ট্যুইটারের মালিক হতেই পরাগ আগরওয়ালকে বাইরের পথ দেখিয়ে দেন। পরাগকে অপসারণ করার পর, অবশেষে ট্যুইটারের জন্য একজন নতুন সিইও পেলেন এলন মাস্ক।
ট্যুইটারের মালিক এলন মাস্ক মনে করেন তার কুকুর ফ্লোকি অন্যান্য সিইওদের তুলনায় অনেক ভালো। নাম না করে তিনি যে পরাগ আগরওয়ালের দিকে আঙুল তুললেন, একথাই মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, এলন মাস্ক যখন ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কিনেছিলেন, তখন তিনি ট্যুটারের প্রাক্তন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেন, শুধু তাই নয়, আরও অনেক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেন। আর এবারে এলন মাস্ক তার পোষা কুকুর ফ্লোকিকে ট্যুইটারের সিইওর চেয়ারে বসিয়েছেন।
এলন মাস্ক তার কুকুর ফ্লোকির সিইওর চেয়ারে বসা একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে, ফ্লোকিকে একটি ব্র্যান্ডের কালো টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, যার গায়ে সিইও লেখা রয়েছে। ছবিতে, ফ্লোকির সামনের টেবিলে কিছু নথি দেখা যাচ্ছে, যাতে ফ্লোকির পায়ের ছাপ এবং ট্যুইটার লোগোও রয়েছে। ফ্লোকির সামনে একটি ছোট ল্যাপটপও রয়েছে, যেখানে ট্যুইটারের লোগো তৈরি করা হয়েছে।
এলন মাস্ক একটি নয়, তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন ফ্লোকির। প্রথম ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, "ট্যুইটারের নতুন সিইও আশ্চর্যজনক।" এর নিচে আরেকটি ট্যুইটে মাস্ক লিখেছেন, "অন্যান্য মানুষের চেয়ে অনেক ভালো।" এর পর আরও ২টি ট্যুইট করেছেন মাস্ক।
প্রসঙ্গত, ট্যুইটার কেনার আগে প্রাক্তন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে লেখা একটি পাঠ্যে, মাস্ক ট্যুইটার বোর্ডে যোগদানকে সময়ের অপচয় বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি লেখেন, "আমি বোর্ডে যোগ দিচ্ছি না। এটা সময়ের অপচয়।" আগরওয়ালের সাথে তার আলোচনা সম্পর্কে মাস্ক প্রাক্তন ট্যুইটার প্রধান জ্যাক ডরসিকেও বার্তা লেখেন। জানা গেছে, মাস্ক এবং আগরওয়ালের বন্ধুত্ব করানোর চেষ্টা করেছিলেন ডরসি, কিন্তু এই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ হয়নি।
No comments:
Post a Comment