হিন্দু শাস্ত্রে, ভগবান শিবকে অত্যন্ত দয়ালু এবং করুণাময় বলে মনে করা হয়েছে। কথিত আছে, এক গ্লাস জল খেলেও শিব খুশি হন। ভগবান শিব শীঘ্রই সত্য মনে এবং পূর্ণ ভক্তি সহকারে করা পূজার ফল দান করেন। আপনি যদি কোনো সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, এবং সেই সমস্যা থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসতে চান, তাহলে আপনি ভগবান শিবের উপাসনা করার কিছু দুর্দান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, যা অবিলম্বে শুভ ফল দেয়। এই দারুণ প্রতিকারটি করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হবে
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান শিব ভক্তদের সমস্ত দুঃখ এবং ঝামেলা দূর করেন। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনার জীবনে এমন কোনও সমস্যা দেখা দেয়, যার জন্য আপনি অবিলম্বে প্রতিকার চান, তবে এর জন্য এমন একটি শিবের মন্দিরে যান, যেখানে একটি বেলপত্র গাছ রয়েছে। এই মন্দিরে যান এবং গাছের নীচে যে কোনও নুড়িকে ভগবান শিবের রূপ মনে করে পূজা করুন।
এরপর এই নুড়ির উপর একটি চাল বা মুগ নিবেদন করুন। এছাড়াও, এক গ্লাস জল নিবেদন করুন এবং ঈশ্বরের সামনে আপনার সমস্যা রাখুন। সেই সাথে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন যেন এই ইচ্ছা দ্রুত পূরণ হয়। এটি ২-৩ ঘন্টার মধ্যে আপনার সমস্যার সমাধান করবে।
শিবলিঙ্গকে বেলপত্রের নীচে রাখুন
জ্যোতিষশাস্ত্র বিশ্বাস করে যে বেলপত্রের অধীনে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গের পূজা করা শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে বেলপত্র গাছে ভগবান স্বভুম বাস করেন এবং গাছের নীচে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করে ভগবান শিবের পূজা করলে বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
জেনে নিন বেলপাতা লাগানোর উপকারিতা
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে মা গিরিজা বেলপত্রের মূলে, কাণ্ডে মা মহেশ্বরী, শাখায় মা দক্ষিণায়ণী, পাতায় মা পার্বতী এবং ফুলে মা গৌরী বিরাজ করেন। এমন অবস্থায় বাড়ির দরজায় বেলপাতা লাগালে অশুভ শক্তি ঘরে থাকে না। দয়া করে বলুন এটি বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিৎ । এটি পরিবারের সদস্যদের শক্তি দেয়। কথিত আছে বেলপত্রের গাছ লাগালে চন্দ্র দোষ ও অন্যান্য দোষের কোনো অশুভ প্রভাব পড়ে না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment