জোশীমঠে এখনও ভয়ের ছায়ায় দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে জোশীমঠের বাড়ি-ঘর ও দোকানে কোনও ফাটল দেখা না গেলেও এখন তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। পাহাড়ি নগরীতে নতুন পাঁচটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, সিং ধর ওয়ার্ডে অবস্থিত বাড়িতে প্রশাসনের বসানো ক্র্যাকোমিটারটি ফাটলটি প্রশস্ত হওয়ার কারণে তার জায়গা থেকে সরে গেছে।
আশিস ডিমরি নামে এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন, বাড়ির ভিতরে গেলেই দেখতে পাবেন দেওয়ালে ও অন্যান্য জায়গায় বিশাল ফাটল। দিমরি বলেন, "আমরা বেঁচে আছি কিন্তু এটা খুবই চিন্তার বিষয়।" দিমরি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তার বাড়ি এখনও লাল চিহ্নিত করা হয়নি, তাকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হয়নি। আশিস দিমরি জানান, তিনি মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকেন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে অবহিত করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে মনে করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে তার বাড়িতে ও পাশের বাড়িতে একটি ক্র্যাকোমিটার বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্রুত শিফট করা হবে
চামোলির ডিএম হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন যে দু-এক দিনের জন্য আমরা এমন কিছু রিপোর্ট পেয়েছি যেখানে ইতিমধ্যেই ছোটখাটো ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, পাঁচটি বাড়িতে নতুন ফাটল দেখা গেছে এবং যেখানে আমরা ক্র্যাকোমিটার বসিয়েছি। হিমাংশু বলেন, পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির একটুও অবনতি হলে এই মানুষগুলোকেও তাৎক্ষণিকভাবে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।
তথ্য অনুযায়ী, জোশীমঠে ফাটল সহ বাড়ির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৮। এর পাশাপাশি এর মধ্যে ১৮১টি বাড়ি অনিরাপদ এলাকায় তৈরি। জোশীমঠের জেপি ক্যাম্পাসে জলের ফুটো ৫৪০ এলপিএম থেকে ১৭ এলপিএমে নেমে এসেছে। জেলা প্রশাসন ২৪৩টি পরিবারের ৮৭৮ জনকে বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করেছে এবং ৫৩টি পরিবারের ১১৭ জন স্বজনদের কাছে গেছে।
জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৪৯৭.৩০ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছে। এছাড়াও ২,১৭৭টি খাবারের কিট, ২,৭২৯টি কম্বল এবং ১,৭১৮ লিটার দুধ, ১৬৪টি হিটার এবং ব্লোয়ার, ১৪৩টি দৈনন্দিন ব্যবহারের কিট, ৪৮ জোড়া জুতা, ১৫০টি তাপীয় পোশাক, ১৭৫টি গরম জলের বোতল, ৭০০টি ক্যাপ, ২৮০টি শাক। ক্ষতিগ্রস্থ ২৮৭ জনকে বিতরণ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক কেটলির প্যাকেট ও অন্যান্য ৫৩৬৬টি সামগ্রী।
No comments:
Post a Comment