কয়লা কাণ্ডে ১০ ঘন্টা তল্লাসিতে বিপুল টাকার হদিশ, আর কী পেল ইডি? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 9 February 2023

কয়লা কাণ্ডে ১০ ঘন্টা তল্লাসিতে বিপুল টাকার হদিশ, আর কী পেল ইডি?




কলকাতায় ফের টাকার হদিশ ইডির। কয়লা কাণ্ডে বালিগঞ্জে নির্মাণকারী সংস্থার অফিসে বুধবার ইডির ১০ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এত টাকা কেনো অফিসে রাখা হয়েছিল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। গোয়েন্দাদের সন্দেহ , কালো টাকা সাদা করারজন্যইএই কারসাজি। পাশাপাশি অফিস থেকে একটি ডেস্কটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর ভেতরে কি আছে সেই নিয়েও প্রশ্ন ইডি।



স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচারের পর, এবার কয়লাকাণ্ডে মিলল কোটি টাকার হদিশ। উদ্ধার হওয়া টাকার বান্ডিলে সবই ৫০০ টাকার নোট।কোথা থেকে এল এত টাকা? বুধবার সকাল থেকেই বালিগঞ্জের গড়চায় নির্মাণকারী সংস্থা গজরাজ গ্রুপের ডিরেক্টর বিক্রম শিকারিয়ার অফিসে তল্লাশি চলে বলে দাবী ইডি সূত্রে। এই এলাকাতেই গজরাজ গ্রুপের একাধিক কোম্পানির অফিস। সূত্রের দাবী, তল্লাশিতে দেড় কোটির কাছাকাছি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর দাবী, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয় কয়লা কাণ্ডে এবং বয়ান নেওয়া হয়েছে সাক্ষীদের। 



সেই সূত্রেই জানা গেছে যে, আসানসোল এবং পুরুলিয়া থেকে কয়লা পাচারকারীদের টাকা হাত বদল হয়ে এই নির্মাণকারী সংস্থার মাধ্যমে বাজারে খাটানোর চেষ্টা হচ্ছে। এভাবে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। এর পরেই দিল্লী থেকে কলকাতায় আসেন ইডির কয়েকজন অফিসার। কলকাতার ইডির জোন টুর অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে এদিন সকালে গজরাজ গ্রুপের এই অফিসে তাঁরা পৌঁছে যান।



সবিক্রম শিকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, মিস্টার গ্রেওয়াল বলে একজনের নাম উঠে আসছে বলে দাবী সূত্রের। আরও দাবী, শরৎ বোস রোডের একটি ধাবার সূত্রে মিস্টার গ্রেওয়ালের কাছে টাকা আসে। পরে সেই টাকা বালিগঞ্জের গজরাজ গ্রুপের ডিরেক্টরের হাতে এসে পৌঁছয়। সংস্থার অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে কোনও ব্যক্তির টাকা খাটানো হত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যা জানা যাচ্ছে, বিক্রম শিকারিয়া রিয়েল এস্টেট, ইমপোর্ট এক্সপোর্ট সহ প্রায় ৩০টি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। তিনি কোনও সংস্থার ডিরেক্টর, আবার কোনও সংস্থার অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। ২০০৫ সালে ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট ব্যবসা দিয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু করে। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় রয়েছে তাঁর রিয়েল এস্টেটের প্রোজেক্ট।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad