ফেসবুকে পরিচয়। সেই সূত্রে প্রেম নাবালক ও নাবালিকার। তারপর নাবালকের বিরুদ্ধে তার প্রেমিকাকে সোনাগাছিতে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণা সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলা থানায় জানানো হয়েছে। কলকাতার ধর্মতলা থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে সোনাগাছি থেকে এক যৌনকর্মী ও ওই মামলায় এক নাবালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যে ব্যক্তি নাবালিকাকে কিনেছিল বলে অভিযোগ তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ তদন্ত করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমের সম্পর্কের পর নাবালিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই নাবালক। এর পর নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। ৩১ জানুয়ারি ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের কয়েকদিনের মধ্যেই কলকাতার ধর্মতলা থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করেন তারা। মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, “আমরা মেয়েটিকে কলকাতার ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করেছি। ছেলেটির নাম বলতে গিয়ে মেয়েটি বলল ছেলেটি তাকে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই নাবালককে গ্রেপ্তার করার পর জানা যায়, এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারও করেছি।”
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনাগাছির বাসিন্দা মহারানা খাতুন ওরফে তানিয়াও নাবালিকাকে বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্বজিৎ জানান, নাবালিকাকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, নাবালিকাকে জায়েদুল নামে এক ব্যক্তি কিনেছেন। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে নাবালিকাকে হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে বিক্রি করা হয়েছিল। ধৃত প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্ত দুজনকেই মঙ্গলবার কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের হেফাজতে নিতে চায়। কাকদ্বীপ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সব্যসাচী দাস বলেন, “পুলিশ জানতে পেরেছে যে নাবালিকাকে বালিগঞ্জের একটি হোটেলে এবং হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছে।" অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment