হনুমান, ভগবান রামের একজন ভক্ত, তিনি হলেন দেবতা যিনি শক্তি, প্রজ্ঞা, সাহস, জ্ঞান এবং বিচক্ষণতা প্রদান করেন। বজরঙ্গবলীর ভক্তির সাথে একজন ব্যক্তির জীবনে সর্বদা সদগুণ, দান, ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি, আধ্যাত্মিকতা, প্রচেষ্টার মতো ইতিবাচক গুণাবলী জন্ম নেয়। হনুমানজিকে কলিযুগের জাগ্রত দেবতা বলা হয়েছে এবং তিনি অমর। এর মানে হল আজও হনুমানজি কোন না কোন রূপে পৃথিবীতে অবস্থান করছেন। তিনিই ঈশ্বর যিনি অবিলম্বে তাঁর ভক্তদের প্রার্থনা শোনেন এবং সমাধান করেন। আসুন জেনে নিই কিভাবে রুদ্রাবতার হনুমানজি তাঁর ভক্তদের অঢেল সম্পদ ও সমৃদ্ধি দেন।
হনুমান চালিসায় লুকিয়ে আছে বজরঙ্গবলীর মহিমা
হনুমান চালিসা লিখে তুলসীদাসজী ভগবানের ভক্তদের জন্য যে উপকার করেছেন তা বর্ণনা করা কঠিন। হনুমান চালিসার ৪০টি শ্লোকে জীবন যাপনের একটি সূত্র রয়েছে। তুলসীদাসজি জীবন ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ জীবন ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সর্বদা সফল ও সুখী হওয়ার মন্ত্র দিয়েছেন। হনুমান চালিসা পাঠ করলে ভক্তদের কষ্ট দূর হয়। তুলসীদাসজী হনুমান চালিসায় হনুমানজী মহারাজের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার বর্ণনা দিয়েছেন। হনুমান জি আটটি কৃতিত্ব এবং নয়টি তহবিলের দাতা হিসাবে পরিচিত। হনুমান চালিসার একটি চৌপাইতে লেখা আছে- 'অষ্ট সিদ্ধি নব নিধির দাতা, ভার দেন জানকী মাতা'। অর্থাৎ, হনুমানজির ভক্তি দ্বারা একজন ব্যক্তির জীবনে ৮ প্রকারের কৃতিত্ব এবং ৯ প্রকারের তহবিল বাস্তব হয়ে ওঠে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই আটটি কৃতিত্ব এবং নয়টি তহবিল কী?
আটটি কৃতিত্ব এবং নয়টি তহবিল
মা জানকী শ্রীরাম ভক্ত হনুমানকে আটটি কৃতিত্ব এবং নয়টি তহবিলের বর দিয়েছিলেন এবং বলা হয় যে সেগুলি পরিচালনা করার ক্ষমতা কেবল মহাবলী হনুমানেরই ছিল। পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান জিনিস হল নয়টি নিধি, যা পাওয়ার পর আর কোনো ধন-সম্পত্তির প্রয়োজন নেই। হনুমানজীর আট প্রকার কৃতিত্ব ছিল। তার প্রভাবে তিনি যে কোনো ব্যক্তির রূপ ধারণ করতে পারতেন। তিনি একটি সূক্ষ্ম থেকে বিশাল শরীর অনুমান করতে পারে. হনুমানজি তার মনের শক্তি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা সেখানে পৌঁছাতে পারতেন।
তাই হনুমান জি ধন ও সমৃদ্ধি দেন
আটটি অর্জন- ৮টি অর্জন এরকম। ১. অণিমা, ২. গৌরব, ৩. মর্যাদা, ৪. লঘিমা, ৫. প্রপ্তি:, ৬. প্রাকাম্য:, ৭. ইশিত্ব এবং ৮. বশিত্ব। যার এই ৮ ধরনের কৃতিত্ব রয়েছে সে পরম শক্তিমান হয়। হনুমানজি মাতা জানকী অর্থাৎ সীতার কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন। সেই কারণে যে ভক্ত ধনী হতে চান তাদের মন, কথা ও কাজে হনুমানজির পূজা করা উচিৎ । তার একটা রেজুলেশন থাকা উচিৎ । মনকে এদিক ওদিক ঘুরতে দেওয়া উচিৎ নয়। ভক্তের ভক্তি ও কর্ম অনুসারে তিনি একই ধন-সম্পদ দান করেন।
নয়টি নিধি - এগুলি হল নতুন নিধি ১. পদ্ম নিধি: এই নিধি ধার্মিকতার গুণাবলী বিকাশ করে। এই ধরনের ব্যক্তি স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি দান করেন। ২. মহাপদ্ম নিধি: ধর্মীয় অনুভূতি প্রবল। দান করার ক্ষমতা আসে। ৩. নীল নিধি: নীল নিধি ধারণ করলে একজন ব্যক্তি শুদ্ধ থাকে এবং কখনও অর্থের অভাব হয় না। সম্পত্তি তিন প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। ৪. মুকুন্দ নিধি: এটি রাজগুণের বিকাশ ঘটায়। ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সংগ্রহে নিয়োজিত। হনুমান সবার বহর পার হয়। ৫. নন্দ নিধি: যার নন্দ নিধি রয়েছে, তার মধ্যে রজস ও তমস গুণের আধিক্য রয়েছে। ৬. মকর নিধি: যার মকর নিধি আছে সে বিশাল অস্ত্র সংগ্রহ করে। ৭. কচ্ছপ তহবিল:যার কচ্ছপ নিধি আছে সে তার ধন সুখে ভোগ করে। ৮. শঙ্খ খোল তহবিল: এই তহবিল এক প্রজন্মের জন্য। এই যদি হয় নিধি, তবে সে অতুলনীয় সম্পদের মালিক। ৯. খারভা নিধি: যার খর্ব নিধি রয়েছে, তিনি প্রতিপক্ষ এবং শত্রুদের উপর জয়লাভ করেন।
হনুমানজির আটটি সিদ্ধি, নয়টি নিধি এবং রামনামের আকারে একটি রাসায়নিকও রয়েছে। এইভাবে, হনুমান চালিসা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, হনুমানজি তাঁর ভক্তদের অঢেল সম্পদ ও সমৃদ্ধি দান করেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment