বিক্ষিপ্ত অস্থিরতার মধ্যে সাগরদিঘী বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের শুরুতেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। তবে দুজনেই অভিযোগ মানতে নারাজ। এদিকে অনেক ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশন সাগরদিঘী বিধানসভার ডাংরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ আধিকারিককে বদলি করেছে এবং ভোটগ্রহণ আধিকারিককে অপসারণ করা হয়েছে। বোখরা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৪৮ নম্বর বুথে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একইভাবে, সাগরদিঘি বিধানসভার হুসেনপুরের ২১০ এবং ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস প্রবেশ করলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার সাগরদিঘির প্রতিটি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হুসেনপুরের ২১০ এবং ২১১ নম্বর বুথে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চলে যাওয়ার পরে, লোকেরা 'গো ব্যাক' স্লোগানও তুলেছিল, যদিও কংগ্রেস প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এখন তারা বলছেন ভোটারদের ভেতরে ঢুকে প্রভাবিত করেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৩.৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এদিকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার বিরুদ্ধেও নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমসাবাদ হাইস্কুলের বুথে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পুলিশ বেআইনিভাবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীকেও সরিয়ে দেন পুলিশ। এছাড়াও, ৫৩ নম্বর বুথেও ছোটখাটো ঝামেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ওই বুথের প্রিজাইডিং অফিসারকে অপসারণ করে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেলার সুপরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বায়রন বিশ্বাসকে প্রার্থী করেছে। কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে বামফ্রন্ট। বিজেপি প্রার্থী করেছে নবগ্রামের বাসিন্দা ও প্রখ্যাত ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ৩০টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment