মহাশিবরাত্রির মহান উত্সব ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ শনিবার পালিত হবে। ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর বিবাহ উৎসবের শুভ দিনে করা একটি প্রতিকার আপনাকে ঋণ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মহাশিবরাত্রি উৎসব ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এই বছর মহাশিবরাত্রি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ পড়ছে। এর সাথে এই দিনে শনি শনি প্রদোষ, সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের মতো অনেকগুলি শুভ যোগও তৈরি হচ্ছে, যার কারণে এই দিনের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। এই মহাশিবরাত্রিতে নিয়ম-কানুন মেনে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর আরাধনা করলে এবং কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষ করে ঋণ থেকে মুক্তি ও সম্পদ লাভের ব্যবস্থা নিন।
মহাশিবরাত্রিতে ঋণ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিন
ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শিবপুরাণে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা বলা হয়েছে। মহাশিবরাত্রির দিনে এই সমস্ত ব্যবস্থা করলে ভোলেনাথের আশীর্বাদে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আর্থিক সচ্ছলতা আসে।
- শিবপুরাণ অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিন শিব মন্দিরে যান এবং শিবলিঙ্গে ঘি ও তিল অর্পণ করুন। এর জন্য কালো তিলে ঘি মেশান এবং তারপর ঘি মেশানো তিল শিবলিঙ্গে অর্পণ করার সময় 'ওম নমঃ শিবায়' মন্ত্র ১১০০ বার জপ করুন। এতে করে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং কর্মজীবনে উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে বাড়ছে টাকার প্রবাহ।
অন্যদিকে, শনি প্রদোষের দিন মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে বেলপত্র অর্পণ করুন। এছাড়াও গরিবদের খির খাওয়ান। এতে করে ভোলেনাথ কাজগ থেকে মুক্তি পান এবং অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ঋণ থেকে মুক্তি পেতে মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে আখের রস দিয়ে অভিষেক করুন। এটা করলে দাম্পত্য জীবনে মধুরতা আসে। এর সাথে এটি সমস্ত আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ঋণ বা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে, মহাশিবরাত্রির দিন উজ্জয়িনের রুন্মুক্তেশ্বর মহাদেব মন্দিরে পুজো করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে করে বহু প্রজন্মের পুরনো ঋণও শোধ হয়। একে হলুদ পূজাও বলা হয়।
এছাড়াও মহাশিবরাত্রির দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে 'ওম রীন্ মুক্তেশ্বর মহাদেবায় নমঃ' মন্ত্রটি ১০৮ বার উচ্চারণ করে শিবলিঙ্গে মসুর অর্পণ করুন। এতে করে অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত হবে এবং ঋণ থেকে মুক্তি মিলবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment