নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে শুনানি শেষে প্রেসিডেন্সি কারাগারে নেওয়ার সময় আহত মানিক ভট্টাচার্য। পুলিশ সূত্রে খবর, হঠাৎ একটি প্রাইভেট বাস ব্রেক লাগায় এবং জেল ভ্যানও ব্রেক লাগায়। ঘটনায় পর্ষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের মুখে আঘাত লাগে।
এদিকে ইডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ মেজাজ হারিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি দাবী করেন, "মিথ্যা বলে আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে। লন্ডনে আমার বাড়ি থাকলে আমাকে ফাঁসি দিন। মাত্র একটি পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করানো হয়েছে, ২টি নয়। যদি ২টি পাসপোর্ট থাকে তবে এর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের পাসপোর্ট বিভাগের।
এদিন বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে চিৎকার শুরু করেন মানিক। তার আইনজীবীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামাজিক সম্মানে আঘাত করা হচ্ছে। কে ফিরিয়ে দেবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। মানিকের দাবী, তার একটাই পাসপোর্ট আছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পুনর্নবীকরণ করান। এ বিষয়ে সিবিআইকে অবহিত করেছেন বলেও দাবী মানিকের।
লন্ডনে থাকার অভিযোগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবী ১৯৮৯ সালে ৬৬০ বর্গফুটের একটি
ফ্ল্যাট ছিল। ২০ বছর পর, তিনি যাদবপুরে ১১০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। নদিয়ায় একটা বাড়ি আছে। মানিক জানতে চায় নদিয়া লন্ডন অধিগ্রহণ করেছে কি না। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, লন্ডনে তাঁর বসবাসের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক। মানিকের দাবী, তিনি কারাগারে থাকায় প্রতিবাদ করতে পারছেন না। তদুপরি, মানিক দাবী করেছেন যে তার মামলা এখনও বেঞ্চে আসেনি। সূত্র জানায়, মানিকের আচরণে বিচারপতি ক্ষুব্ধ। তাকে আবার আদালতের লক আপে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, ছেলে এবং মানিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডল ইডির জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন। পরবর্তী শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা, ছেলে সৌভিক এবং মানিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডলের জামিনের বিরোধিতা করার সময় ইডি বিস্ফোরক দাবী করেছে।
কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টাকা তুলেছিলেন তাপস মণ্ডল। জেনেশুনে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তাপস। মানিকের স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির দায়ের করা মামলায় মানিকের স্ত্রী, ছেলে ও তাপস মণ্ডল আজ জেলা দায়রা আদালতে ইডির বিশেষ আদালতে হাজির হন। তিনজনই ইডির অভিযোগের জবাব দিতে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন। তবে জামিনের বিরোধিতা করেও মানিকের স্ত্রী, ছেলে ও তাপস মণ্ডলের হেফাজতের আবেদন করেনি ইডি।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি মানিকের স্ত্রী শতরূপা, ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য এবং মানিকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাপস মণ্ডল ইডি মামলায় জেলা দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
No comments:
Post a Comment